নতুন ছোট্ট এপার্টমেন্টটা অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে, ধার দেনা করে কিনেছেন এবার সুন্দর করে মনের মত গুছিয়ে নিতে চান নতুন ঘরটিকে? সুন্দর করে কম খরচে অভিজাত স্টাইলে ঘর সাজাতে পারেন। শুধু যোগ করতে হবে একটি বুদ্ধি আর সৃজণশীলতা।
১। আলো আসতে দিন
ঘরের আলো আসার ব্যবস্থা বজায় রাখুন। কোন আসবাব দিয়ে জানালা ঢেকে দেবেন না। নতুন এপার্টমেন্টে উঠেই দেখা যায় আমরা কেবিনেট বসাই। বড় বড় কেবিনেটে ঢেকে দিই দেয়াল, জানালা। এতে আপনার ঘর ছোট দেখাবে। একবার এইরকম করে সাজানোর পর সেগুলো খুলে আবার ডিজাইন বদলানো খুব খরচের ব্যাপার। তাই আগেই খেয়াল করুন। আলো আপনাকে অনেক প্রানবন্ত রাখবে, ঘরের সৌন্দর্য্য এবং আবহাওয়া ঠিক রাখবে।
২। আনুন অক্সিজেন
খুব সহজ। গাছ লাগান। নানান রকম অন্দরের গাছ পাওয়া যায় এখন। গাছ লাগাবেন মানে এই নয় যে বড় বড় গাছ দিয়ে ঘর ভরিয়ে ফেলবেন। ঘরে লাগানোর গাছ এবং অফিসের অন্দরের গাছ কিন্তু আলাদা। শুধু গাছ দিয়েই আপনি ফুটিয়ে তুলতে পারেন আপনার মনের গভীরের শিল্পস্বত্তাকে। বনসাই আনতে পারেন, লাগাতে পারেন অর্কিড, ক্যাকটাস। সবুজ যেমন আসবে ঘরে তেমনি আসবে উজ্জ্বলতা।
৩। ঐতিহ্যের ছোঁয়া
আমাদের দেশটা ছোট হলেও এখানকার প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা আলাদা ঐতিহ্য। সংগ্রহ করুন দেশীয় সংস্কৃতিকে। দেয়ালে ফুল-পাখির ছবি তো সবাই লাগায়। আপনি লাগান একটি নকশীকাথা, যাতে ফুটে উঠেছে আমাদের গ্রাম-বাংলার গল্প। ঘরে নানান রকম বিদেশী শোপিসের বদলে রাখুন একতারা, বাঁশি। বদলে যাবে আপনার ঘর, হবে সবার চোখে ভিন্নরকম আকর্ষণীয়।
৪। রঙ্গে রঙ্গে রঙ্গিন
ঘরের কুশনে, পর্দায় যোগ করুন রঙ। রঙের ছোঁয়া আপনার মুড বদলে দেবে। খাবারে ঘরের দেয়ালে দিন নীল রঙ যদি ডায়েট করা হয় আপনার ইচ্ছা। আর বেশী খেতে চাইলে দিন লাল রঙ। শান্তির ঘুমের জন্য শোবার ঘরের দেয়ালে দিন গাঢ় কোন রঙ। দেয়ালের রঙের সাথে মিলিয়ে শেডের বৈচিত্র আনুন বিছানার চাদর, পর্দা আর আসবাবে। ফুটিয়ে তুলুন আভিজাত্য।
সহজ ৪ টি কাজ। কিন্তু আপনার ঘরের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবে সবাই। আর আপনাকে সাহায্য করতে ইন্টারনেট তো আছেই। সাথে যোগ করুন নিজের আইডিয়া, যা মিলবে না আর কারও সাথে। চমৎকার সেই ফ্লাটটি হবে আপনার একান্ত জায়গা।