আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
দুই মাসে সেবা খাতে রপ্তানি আয় ৬২ কোটি ডলার

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বিভিন্ন ধরনের সেবা রপ্তানি করে ৬১ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৫০ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। সে হিসেবে এই দুই মাসে সেবা খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের উক্ত দুই মাসের সেবা রপ্তানির এই চিত্র সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত চিত্রে দেখা যায়, শুধু আগস্টে সেবা খাত থেকে ৩১ কোটি ৫৬ ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। গত বছর এই আয় ছিল ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, এই রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৬০ কোটি ৭০ লাখ ৪০ হাজারই সরাসরি সেবা খাত থেকে এসেছে। বাকিটা দেশের বন্দরগুলোতে পণ্যবাহী জাহাজগুলোর কেনা পণ্য ও সেবা এবং মার্চেন্টিংয়ের অধীনে পণ্য বিক্রির আয়।

এ বিষয়ে ইপিবির সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের স্থল, সমুদ্র বা বিমান বন্দরে বিদেশি পরিবহনগুলো সেসব পণ্য ও সেবা- যেমন জ্বালানি তেল ও মেরামত সেবা- কিনে থাকে সেগুলোকে সেবা খাতের আওতায় ধরা হয়েছে। আর কোনো অনাবাসীর কাছ থেকে পণ্য কিনে একই পণ্য কোনো অনাবাসীর কাছে বিক্রি করাকে মার্চেন্টিং বলে। এই প্রক্রিয়ায় মোট বিক্রি থেকে মোট ক্রয় বাদ দিয়ে নিট মার্চেন্টিং রপ্তানি আয় হিসাব করা হয়।

সেবা খাতের একক উপখাত হিসেবে সরকারি পণ্য ও সেবা উপখাত থেকে সর্বোচ্চ আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৬ লাখ ডলার। অন্য উপখাতগুলোর মধ্যে ‘অন্যান্য ব্যবসায় সেবা’ থেকে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে ৮ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিভিন্ন ধরণের পরিবহন সেবা থেকে ৮ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিমা ছাড়া আর্থিক সেবা খাত থেকে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং ভ্রমণ সেবা উপখাত থেকে ৪ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে।

এই দুই মাসে শুধু বিভিন্ন ধরণের পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৬৬২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। তার সঙ্গে সেবা রপ্তানির আয় ৬১ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার যোগ করে দেশের মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৭২৪ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

উল্লেখ্য, জুলাই-অগাস্ট সময়ে সার্বিকভাবে সেবা খাত থেকে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।

সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এসএ