
যেকোনো শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরি করতে সিমেন্টের বিকল্প নেই। একটি কাঠামো দাঁড় করাতে প্রয়োজন রড। সেই কাঠামোকে মজবুত ভিত্তিতে পরিণত করতে প্রয়োজন সিমেন্ট। আর তাই ভবন নির্মাণে সিমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে রড, ইট, পাথর ও বালু যেমন প্রয়োজন, তেমনি এগুলো একত্র করে একটি শক্তিশালী কাঠামোতে রূপ দিতে প্রয়োজন সিমেন্টেরও।
দেশের বাজারে বর্তমানে ৫০ কেজি ওজনের প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের গড় দাম কোম্পানিভেদে ৩৮০-৪৫০ টাকা। নগদে কিনলে কোম্পানিগুলো এক ধরনের দাম রাখে। আবার বাকিতে কিনলে আরেক দাম। রাজধানীর মিরপুরে বিভিন্ন বাজার ঘুরে সিমেন্টের মূল্যে তথ্য সংগ্রহ করেছে আবাসন বার্তার নিজস্ব প্রতিবেদক রাজু আহমেদ। নিম্নে ছকে পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো :
মিরপুরের পূর্ব মনিপুরে অবস্থিত মেসার্স মজুমদার এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মো. আলাউদ্দিন আবাসন বার্তা’র এই প্রতিনিধিকে বলেন, সিমেন্টের বাজারে একেক দোকানে একক রকম বিক্রি হয়। আমরা শাহ্ সিমেন্ট (ওপিসি) প্রতি ব্যাগ বিক্রি করছি ৪২০ টাকা, শাহ্ সিমেন্ট স্পেশালটা ৪০০ টাকা, বসুন্ধারা সিমেন্ট ৩৮০ টাকা ও সুপারক্রিট সিমেন্ট ৩৯৫ টাকা।
কহিনুর ট্রেডিং এর মালিক মো. খলিলুর রহমান বলেন, নির্মাণ কাজে সিমেন্ট একটি অপরিহার্য পদার্থ। বর্তমান বাজারে আমরা শাহ্ সিমেন্ট ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।
সেনপাড়ায় অবস্থিত সিমেন্ট সেন্টারের সহকারী ম্যানেজার মো. সুমন এই প্রতিনিধিকে বলেন, দেশি সিমেন্টের কাছে হার মানছে বিদেশি কোম্পানির সিমেন্ট। পাশাপশি বাড়ছে বিনিয়োগ, উৎপাদন, দেশীয় কারখানা। সিমেন্টের বাজারে ক্রমেই শক্ত অবস্থান দখল করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের সিমেন্ট।
সুমন আরো বলেন, আমরা শাহ্ সিমেন্ট (ওপিসি) প্রতি ব্যাগ বিক্রি করছি ৪১০ টাকা, শাহ্ সিমেন্ট স্পেশালটা ৩৮৫ থেকে ৩৯৫ টাকা, আনোয়ার সিমেন্ট ৩৮০ টাকা ও মেট্রোসেম সিমেন্ট ৩৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সিমেন্ট উৎপাদনে চতুর্থ প্রজন্মের এইচইসি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা নিশ্চিত করছে সিমেন্টের সর্বোচ্চ মান। সিমেন্ট ব্যবসায় যুক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে দেশেই উৎপাদন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের সিমেন্ট। এমনকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে বাংলাদেশে উৎপাদিত সিমেন্ট।
বর্তমানে দেশে সিমেন্ট উৎপাদন করছে ৩৫টি কোম্পানি। এগুলো হলো—শাহ সিমেন্ট, বসুন্ধরা সিমেন্ট, এমআই সিমেন্ট, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, হোলসিম সিমেন্ট, সেভেন সার্কেল সিমেন্ট, ইউনিক সিমেন্ট (ফ্রেশ), আনোয়ার সিমেন্ট, টাইগার সিমেন্ট, ইস্টার্ন সিমেন্ট, মির সিমেন্ট, আকিজ সিমেন্ট, মেট্রোসেম সিমেন্ট, উত্তরা সিমেন্ট, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ছাতক সিমেন্ট, হেইডেলবার্গ সিমেন্ট, রয়েল সিমেন্ট, আরামিট সিমেন্ট, এনজিএস সিমেন্ট, ডায়মন্ড সিমেন্ট, এস আলম সিমেন্ট, মোস্তফা হাকিম, কনফিডেন্স সিমেন্ট, মেঘনা সিমেন্ট, মংলা সিমেন্ট, দুবাই বাংলা সিমেন্ট, অলিম্পিক সিমেন্ট (অ্যাংকর), আমান সিমেন্ট, দোয়েল সিমেন্ট, আলহাজ সিমেন্ট, সালাম সিমেন্ট ও পদ্মা সিমেন্ট।