আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইন ব্যাংকিং। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ব্যাংকিং খাতে প্রায়ই সাইবার হামলা, অগ্নিকান্ডসহ নানা দুর্ঘটনা আঘাত হানছে। আর এই দুর্ঘটনায় ডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা মোকাবেলায় রয়েছে দক্ষ জনবলের অভাব। দেশের ৮০ শতাংশ ব্যাংকই ডাটা সেন্টারের দুর্ঘটনা মোকাবেলায় দক্ষ জনবল নেই। এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক সিহাব উদ্দীন খানসহ ৪ সদস্যের একটি গবেষণা দল বলেন, দেশের ২৭টি ব্যাংকের ওপর এ জরিপ পরিচালনা করে বিআইবিএম। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের ২০ টি, রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন ২টি, বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংক ২টি এবং বিদেশী ব্যাংক ৩টি।
গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনা বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনলাইন ব্যাংকিংয়ে ১১টি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যার মধ্যে তথ্যের সঠিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ রয়েছে ৬০ শতাংশ ব্যাংকে; দক্ষ জনবলের অভাব ৮০ শতাংশ ব্যাংকে; আইটি এবং সাধারণ ব্যাংকিং বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধনের অভাব রয়েছে ৮০ শতাংশ ব্যাংকে; দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনায় তহবিলের অভাব রয়েছে ৪৫ শতাংশ ব্যাংকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বলেন, দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় ঘটলে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সুরক্ষায় বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে গাইডলাইন তৈরি করেছে। গ্রাহকদের স্বার্থে গাইডলাইনের পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিং খাতের আইটি কর্মকর্তাদের ব্যাংক বিজনেসের নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। একই সঙ্গে শাখা ব্যবস্থাপকদের আরো ভালো ধারণা থাকতে হবে।
‘ডিজেস্টার রিকভারি ম্যানেজমেন্ট ইন অনলাইন ব্যাংকস : চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড রিমেডিয়াল মেজারস’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান।
বিআইবিএম’র ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. শাহ মো. আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক দেবদুলাল রায়, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াছিন আলি, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাঈনুদ্দিন চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
সম্পাদনা: জেকে/আরএ/এসএ