আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি- একনেক। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণায়ের নেতৃত্বে পাঁচ মন্ত্রনালয় ও সংস্থা এটি বাস্তবায়ন করবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও, চট্টগ্রামের রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা আধুনিক নগরীর উপযোগী নয়। সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় নগরীর বেশিরভাগ এলাকা। জলজট আর যানজটে চট্টগ্রামবাসীর ভোগান্তি যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই অবস্থা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ ১৯৯৫ সালে একটি মাস্টারপ্লান করলেও, ২০ বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি। সেই মহাপরিকল্পনার আলোকেই নতুন করে তৈরি করা হয় এই প্রকল্প, যা একনেক অনুমোদন দিলো মঙ্গলবার।

একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে শহরের চারপাশে যে সব খাল আছে. এগুলো পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কারকরা হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা।’

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণাণালয়ের নেতৃত্বে সরকারের পাঁচ মন্ত্রণালয় ও সংস্থা মিলে বাস্তবায়ন করবে। এর আওতায় শহরের ৩৫টি খাল পুনঃখনন, কাদা অপসারণ, ড্রেন নির্মান ও সংস্কার, জমিঅধিগ্রহণ, রাস্তা নির্মাণ, পরামর্শক নিয়োগ ও জরিপ কাজ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি নির্দেশনা দিয়েছেন, এটি সমন্বিতভাবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবেন।

এছাড়া মহেশখালী পাওয়ার হাব নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য আরও একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রকল্প নয়, যে কোনো প্রকল্পেই যখন মানুষ জীবন জীবিকা বাড়িঘর থেকে উদ্বাস্তু হবে, তাদেরকে পুনর্বাসনের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা সরকারকে বহন করতে হবে।
একনেক বৈঠকে মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছে। যার মধ্যে ১০টি নতুন প্রকল্প। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসের মূল্যস্ফিতি কমেছে। মূল্যস্ফিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫.৫৭ শতাংশ।