
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে এটি বিশ্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে ঐতিহাসিক মর্যাদায় সমৃদ্ধ হয়েছে। এজন্য ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান তিনি। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবিতে লালমোহন ফাউন্ডেশন এবং লালমোহন-তজুমদ্দিন ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত সমাবেশ ও র্যালির উদ্বোধনকালে ঢাবি উপাচার্য এ দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লালমোহন ফাউন্ডেশন এবং লালমোহন-তজুমদ্দিন ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, রিহ্যাব এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী (শাওন)।
সভাপতির বক্তব্যে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী (শাওন) বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতিকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের দিকনির্দেশনা দিয়ে অসাধারণ দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। দীর্ঘদিন পরে হলেও ঐতিহাসিক ভাষণটি বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। তিনি ওই ভাষণে বাঙ্গালীর স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ছিলেন। মহান এই নেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। তাই স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া এই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান নুরুন্নবী চৌধুরী।
সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন- দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, নোবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওয়াহীদুজ্জামান, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সংসদ সদস্য কাজী রোজী, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক স ম রেজাউল করিম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস, কবি অসীম সাহা, কবি নুরুল হুদাসহ সমাজের বিশিষ্ট কবি, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক বৃন্দ।
সমাবেশে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তাঁরা ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যানার -ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। এ সময় ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর পক্ষে নানা ধরনের স্লোগান দেন।
সমাবেশ শেষে রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুন্নবী চৌধুরীর (শাওন) নেতৃত্ব একটি বিশাল র্যালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে এসে শেষ হয়।
সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এসএ