আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
তিন দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো শুরু ৩০ নভেম্বর

দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‌”সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৭”। রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আগামী ৩০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে এই এক্সপো শুরু হবে। চলবে ১ ও ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আইসিসিবি’র ০৪ নম্বর হল নবরাত্রিতে অনুষ্ঠিতব্য এই এক্সপো প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।

৩০ নভেম্বর সকালে আইসিসিবি’র সেমিনার কক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে এই এক্সপোর শুভ উদ্ধোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিসিএমইএ) আয়োজিত এক্সপোতে ১৩টি দেশের মোট ৬০টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে। থাকবে ৩০০ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, ৫০ জন বায়ারস হোস্ট, ১৫০টি বুথ, ১০০ এর বেশি ব্র্যান্ড ইত্যাদি।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁয়ে “সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৭” উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এক্সপোর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন বিসিএমইএ’র সভাপতি ও সংসদ সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এক্সপোতে প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক এবং সরবরাহকারীরা তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরবেন। এতে করে বিশ্বের কাছে তাদের ভাবমূর্তি বাড়বে এবং পুরো প্রক্রিয়াতে নতুন মান যোগ করবে। এক্সপোতে ১৩টি দেশের মোট ৬০টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে।

সম্মেলনে আরও জানানো হয়, মেলার শেষ দিন, শনিবার বিকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মিলন মেলার সম্পাপ্তি ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, প্রায় ৫০টি দেশে বাংলাদেশি সিরামিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। সামনে এই সংখ্যাকে আমরা আরও বাড়াতে চাই। বাংলাদেশের সিরামিক শিল্প একটি উজ্জ্বল ক্ষেত্র এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারের প্রবৃদ্ধি ইঙ্গিত করে যে এটি দেশের জন্য বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি খাত হতে পারে।

ইরফান উদ্দিন বলেন, দেশী ও আন্তর্জাতিক বাজারে সিরামিক ও সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলির বর্ধিত চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে সমস্ত প্রধান বাংলাদেশী সিরামিক কোম্পানিগুলি তাদের ফ্যাক্টরি ও অপারেশন সম্প্রসারণ করছে। ফলস্বরূপ, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের পাশাপাশি সিরামিক ও সংশ্লিষ্ট খাতে যৌথ উদ্যোগের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের স্থানীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে কাজ করার কথা বিদেশী কোম্পানিগুলো ভাবছে বলে আমরা জানি। অন্যদিকে, দীর্ঘমেয়াদি ঋণের উপর যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং কাঁচামাল সরবরাহ করতে সক্ষম এ রকম অংশীদারের খোঁজ করছেন অনেকেই। আমি আশা করি, এবারের এই আয়োজন দেশী-বিদেশী দুই ধরনের কোম্পানিগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সিরামিক শিল্পে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের মধ্যে কোনও সালফার থাকে না এবং এর কারণেই দেশের সিরামিক পণ্যগুলি উজ্জ্বল এবং চকচকে দেখায়। সিরামিক শিল্পে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বি চীন ও ভারত। কিন্তু তারা বেশিরভাগই ঐতিহ্যবাহী আইটেম উৎপাদন করে। তাছাড়া, বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কট ও ক্রমবর্ধমান শ্রমমূল্যের কারণে উন্নত দেশগুলি বাংলাদেশের মতো কম খরুচে দেশে আরও বেশি কাজ দিচ্ছে।

“সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৭” আয়োজন করতে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনকে সাহায্য করছে ওয়েম বাংলাদেশ লিমিটেড।

বিসিএমইএ’র সচিব জাহেদী হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ময়নুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট এম. এ. জব্বার, পরিচালক রাশেদ মায়মুনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এসএ