
ডেভেলপমেন্ট অফ ঝিলমিল রেসিডেন্সসিয়াল পার্ক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে ঝিলমিল প্রকল্পের ইমপ্লিমেটিং এজেন্সি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং প্রাইভেট পার্টনার বিএনজি গ্লোবাল হোল্ডিং এসডিএন বিএইচডি, অ্যান্ড কনসোর্টিয়ামের (মালয়েশিয়া) মধ্যে এ চুক্তি হয়। এ প্রকল্পটি সম্পূর্ণরুপে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই প্রকল্পের প্রাইভেট পার্টনার বিএনজি গ্লোবাল হোল্ডিং এসডিএন বিএইচডি অ্যান্ড কনসর্টিয়াম ‘আইবিএস’ পদ্ধতিতে ঝিলমিল প্রকল্পের আওতায় ৮৫টি সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৬০টি ২০ তলা ও ২৫টি ২৫ তলা ভবন অন্তর্ভূক্ত। এছাড়া, প্রকল্পের আওতায় রয়েছে- মসজিদ, ব্যায়ামগার, কমিউনিটি সেন্টারসহ আরো অনান্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ১৬০ একর জায়গার উপর এ প্রকল্পটি শুরু হবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে। শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে।
প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে যাবো
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঝিলমিল প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে আমরা এ দেশে সর্ব প্রথম আইবিএস (ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড বিল্ডিং সিস্টেম) চালু করতে যাচ্ছি। এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন “সকলের জন্য আবাসন” বাস্তবায়নে আমরা একধাপ এগিয়ে যাবো।
ঝিলমিল প্রকল্পে ফ্ল্যাট কেনার ইচ্ছা প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী ও গণপূর্তমন্ত্রীর
ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্ক প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী ফ্ল্যাট কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বলেও জানান গণপূর্তমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঝিলমিল প্রকল্পের রূপ এবং বিশেষত্ব নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় তখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আনন্দিত হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওইদিক (কেরানিগঞ্জ) দিয়েই যেহেতেু গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে যাই, সেহেতু আমিও ঝিলমিল পার্কে একটি ফ্ল্যাট কিনতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী এমন অভিব্যাক্তি প্রকাশ করার পর নিজেও ঝিলমিল প্রকল্পে একটি ফ্ল্যাট কেনার ইচ্ছা পোষণ করেন বলে জানান গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।
আবাসনের অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার
মোশাররফ হোসেন বলেন, আবাসনের অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। সকলের জন্য আবাসন- এটাও রাষ্ট্রের কাছে মানুষের প্রাপ্য অধিকার। এই প্রকল্প সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার পথেরই একটি ধাপ। মালয়েশিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশে এ ধরনের একটি জনবান্ধব ও অত্যাধুনিক প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে আসায় তিনি ধন্যবাদ জানান।
প্রতি বর্গ ফুট মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা
খুব সহনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়া যাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যাদের ঢাকায় কোনো নিজস্ব জমি নেই কেবল তারাই এখানে ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। এখানে ফ্ল্যাটের দাম বেশ সহনীয় রাখা হয়েছে, যাতে সবাই সহজেই ফ্ল্যাট কিনতে পারে। প্রতি বর্গ ফুটে মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা মূল্য ধরা হয়েছে। এছাড়াও ৫ মাসের মধ্যে পূর্বাচলে ৭০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের টেন্ডার ডাকা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
স্বপ্লমূল্যে এবং সহজ শর্তে এই প্রকল্পে ফ্ল্যাট কিনে অনেকেই লাভবান হবেন
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, স্বপ্লমূল্যে এবং সহজ শর্তে এই প্রকল্পে ফ্ল্যাট কিনে অনেকেই লাভবান হবেন। সরকারের যে জ্বালানি নীতি তা এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ করার ববস্থা রাখা হয়নি। নতুন করে আর কোনো বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেবে না সরকার।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান। পরবর্তিতে ঝিলমিল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো: আবদুল লতিফ হিলালি প্রকল্পটি সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে সংক্ষিপ্ত ধারণা প্রদাণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএনজি গ্লোবাল হোল্ডিং এসডিএন বিএইচডি অ্যান্ড কনসর্টিয়াম এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ড: সাবরিনা এবং পিপিপি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ- এর সিইও সৈয়দ আফসর এইচ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এসএ