
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ই-ট্রেড লাইসেন্স ও ই-হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এই কার্যক্রম চালু হওয়ার ফলে নাগরিকদের দুর্ভোগ বা ভোগান্তি নিরসন হবে। এবং এখন থেকে নাগরিকরা ঘরে বসেই ব্যবসা পরিচালনাসহ গৃহকর পরিশোধ করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে নগর ভবনস্থ ব্যাংক ফ্লোর সম্মেলন কক্ষে ই-ট্রেড লাইসেন্স ও ই-হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
সাঈদ খোকন বলেন, এই কার্যক্রম চালু হওয়ায় নাগরিকদের মূল্যবান সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। এছাড়া, কর্পোরেশনের কাজেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে।
ইতিমধ্যে ই-টেন্ডারিং চালু করা, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করণে ডিজিটাল এ্যাটেনডেন্স চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন এরই ধারাবাহিকতায় আজ ই-ট্রেড লাইসেন্স ও ই-হোল্ডিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হল।
উল্লেখ্য, ডিএসসিসি’র এক লক্ষ ৮২ হাজার ট্রেড লাইসেন্স ও এক লক্ষ ৬৫ হাজার হোল্ডিং রয়েছে।
‘রাজধানীতে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং এতে নাগরিকরা ক্ষুব্ধ’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সাঈদ খোকন বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়নি। আগেও হোল্ডিং ট্যাক্স শতকরা ১২ ভাগ ছিল। এখনও তাই আছে। ২৯ বছর যাবৎ কর এ্যাসেসমেন্ট করা যায়নি বলে নতুন ও পুরাতন ফ্ল্যাট/ভবনের গৃহকরের মধ্যে বিদ্যমান অসমতা দূর করে সমন্বয় করা হচ্ছে মাত্র।
সমতাভিত্তিক সমাজ ও নগরী গড়ে তোলার জন্য এটি জরুরি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ধার্য্যকৃত গৃহকরও বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শতকরা ৪০ ভাগ কমিয়ে আনারও সুযোগ রয়েছে। কোন নাগরিক এতে সংক্ষুব্ধ হলে বা দুর্ভোগের শিকার হলে যৌক্তিক যেকোন বিষয় আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের বিষয় বিবেচনা করা হবে।
ডিএসসিসি’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সচিব শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এ টু আই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, ডিএসসিসিতে এ প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল খালেক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, প্রধান নগর পরিকল্পণাবিদ সিরাজুল ইসলাম, সিস্টেম এনালিষ্ট আবু তৈয়ব রোকনসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা: আরএ/আবি/এসএ