
মধ্যবিত্ত শ্রেণী মানুষের কথা বিবেচনা করে চারটি ভবন নির্মাণ করছে দেশের অন্যতম স্বনামধন্য আবাসন খাতের প্রতিষ্ঠান শেলেটক্। রাজধানী ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডে ৬৮ কাঠা জায়গাজুড়ে শেলেটক্ বীথিকা প্রকল্পের আওতায় ভবনগুলো নির্মাণ হচ্ছে। আবহাওয়া, জলবায়ু ও প্রকৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর সমাহারে নির্মিতব্য এসব ভবনে অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা হবে ১৮৪টি। প্রতিটি ভবনে থাকবে ১৪টি ফ্লোর। প্রকল্পটিতে এক হাজার ৩৪০ বর্গফুট থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫৭৫ বর্গফুট আকারের ফ্ল্যাট রয়েছে।
এদিকে, অ্যাপার্টমেন্টগুলোর দামও রাখা হয়েছে মধ্যবিত্তের নাগালে। প্রতি বর্গফুট ছয় হাজার ৩০০ থেকে ছয় হাজার ৬৫০ টাকা। রয়েছে ব্যাংকঋণের বিশেষ সুবিধা। অ্যাপার্টমেন্টগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। একই সময়ের মধ্যে এসব অ্যাপার্টমেন্ট ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শেলেটক্।
থাকছে যেসব সুযোগ-সুবিধা:
শেলেটক্ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির পাশ দিয়েই যাবে আধুনিক যোগাযোগ অবকঠামো বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ও মেট্রো রেল ট্রানজিট (এমআরটি)। ফলে এখানকার বাসিন্দারা দ্রুত ও স্বচ্ছন্দে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবে। দক্ষ স্থপতি ও নির্মাণ প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে নির্মীয়মাণ প্রকল্পটি এরই মধ্যে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা তৈরি করেছে। নাগরিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রকল্পের একটি টাওয়ারে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ১২টি ইউনিটও রাখা হয়েছে। ফলে এখানকার বাসিন্দারা সহজেই ব্যাংকিং, শপিংসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবে। তবে এসব বাণিজ্যিক আয়োজনকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দিয়ে টাওয়ারগুলোয় যারা বসবাস করবে, তাদের আবাসিক মর্যাদার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শেলেটক্ বীথিকায় ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তো রয়েছেই।
একই সঙ্গে প্রকল্পটিতে রয়েছে ২০০ জনের বেশি অতিথি সমাগমের জন্য কমিউনিটি স্পেসের ব্যবস্থা। রয়েছে সুইমিং পুল, শিশুদের খেলার জায়গা, জগিং ট্র্যাকসহ নানা নাগরিক সুবিধা। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পানির ব্যবস্থা যেমন রাখা হয়েছে, তেমনি বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে প্রকল্পটিতে।
শেলেটকে্র ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিকল্পনাবিদ ড. তৌফিক এম. সেরাজ সাংবাদিকদের বলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর গ্রাহকের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই শেলেটক্ বীথিকা প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। রাজউক নির্দেশিত সব আইন ও বিধি মেনে ভূমিকম্প সহনীয় করে দক্ষ নির্মাণবিদদের সহায়তায় প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে। এতে গ্রাহকদের বসবাসের বিষয়টিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ফলে এখানে যারা বাস করবে, তাঁরা সর্বাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।
সম্পাদনা: টিএম/আরএ/আরবি