
রাজশাহীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমি দখল নিয়ে এলাকার এক প্রভাবশালী নেতা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবন্ধী স্কুলঘর ভেঙে ফেলে ইতিমধ্যে সেখানে মোট ছয়টি পিলার নির্মাণের কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় দখলকৃত জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে, প্রশাসনের নজর এড়াতে দিনের পরিবর্তে রাতে নির্মাণকাজ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কাছারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের পীরগঞ্জ বাজারসংলগ্ন নানসর মৌজার জেএল নং ৮৯, আরএস খতিয়ান নং ৩৩৫, দাগ নং ৪৫৭৭ এবং আরএস খতিয়ান নং ৩৭৫, দাগ নং ৪৫৭৬ উল্লিখিত এ দু’টি দাগের ০৭ শতক ও ২৩ শতক মোট ৩০ শতক জমির ওপর কয়েক বছর আগে স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে একটি প্রতিবন্ধী স্কুলঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি কাছারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের সমশের আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম পাউবোর জমির ওপর থাকা ওই প্রতিবন্ধী স্কুলঘর ভেঙে ফেলেন। আশরাফুল ইসলাম এলাকার একজন প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় পাউবোর ওই জমি দখলের উদ্দেশ্যে কৌশলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সখ্য গড়ে তোলেন। এরপর অর্থের বিনিময়ে তাদের ম্যানেজ করে ওই জমিতে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এ ঘটনায় পাউবোর দখলকৃত জমি উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ দেয়া হয়। এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগটি করেন বীরকয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফাতুল্যাহ প্রামাণিক। অভিযোগের অনুলিপি বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি (পাউবোর) জমি রক্ষার স্বার্থে সেখানে বিল্ডিং নির্মাণকাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পাউবোর স্থানীয় কর্মকর্তা (এসও) আমজাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
সম্পাদনা: কেবিআর/এসকে/আরবি