আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
‘রাজধানীর নিম্নাঞ্চল ভরাট করছে ভূমিদস্যুরা’

ভূমিদস্যুরা রাজধানীর চারপাশের নিম্নাঞ্চল ভরাট করছে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, দখল ও দূষণের কারণে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর কাছে যাওয়া যায় না। নদীগুলো দখলমুক্ত করে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। কিন্তু ভূমিদস্যুদের কারণে সেটা করা যায়না। তাঁরা রাজধানীর নিম্নাঞ্চল ভরাট করছে। এ থেকে রক্ষা পেতে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রতিবেদন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান মোশাররফ হোসেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘সাংবাদিক এম ওমর ফারুকের স্মরণসভা ও পরিবারকে চেক হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে অনেক সময় নদীগুলো দখলমুক্ত করা যায় না। তবে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগসহ ঢাকার চারটি মূল নদীর জমি দখল করে তৈরি করা অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার হয়েছে আদালতের আদেশেই।

অবৈধ দখল উচ্ছেদে রাজউক কর্মকর্তারা ‘ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, অনেকবার বলার পরও রাজউকের কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে না। নাইনটি এইট পার্সেন্ট ভবন আছে ফুটপাত সংলগ্ন। কিন্তু রাজউক চুপ। রাজউকের অথরাইজড অফিসার চুপ, রাজউকের ইন্সপেক্টর চুপ। এমনটাতো হতে পারে না।

দখল উচ্ছেদে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়ে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমাদের সিএস পর্চা ধরে ড্রেজার লাগিয়ে যদি আমার পোরশনটা আমি নিয়ে নিই, কে কী করছে স্থাপনা সেটা আমার দেখার দরকার নাই।

ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রতিবেদন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, আপনারা যদি ধারাবাহিকভাবে রিপোর্ট করেন, তাহলে দেখা যাবে যে তারা কিছুটা ভয় পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে ওমর ফারুকের স্ত্রী সানজিদা শওকত এবং বড় মেয়ে ফারিহা ওমরের হাতে তিন লাখ টাকার চেক তুলে দেন গণপূর্তমন্ত্রী। নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম জানায়, সংগঠনের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় আসা বিজ্ঞাপনের আয় থেকে ওমর ফারুকের পরিবারকে এই অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অমিতোষ পাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, রাজউকের উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ হারুনুর রশিদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মামুন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বক্তব্য রাখেন।

সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এসকে