প্রত্যেক মৌজা এর ১ নং খতিয়ানভুক্ত সম্পূর্ণ জমি খাস জমি হিসাবে পরিচিত৷ পরিত্যাক্ত কৃষি জমি ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের বিধান বলে খাস করা হয়ে থাকে৷ পয়স্তিভূমি, নদীতে বা সাগরে ভেঙ্গে যাওয়া জমি পুনরায় জেগে উঠলে এবং নদী বা সাগরে সরে যাওয়ার দরুন জেগে ওঠা ভূমি ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৮৭ ধারা মোতাবেক খাস জমি হিসাবে গণ্য হবে৷
কোন হোল্ডিং বা ইহার অংশ বিশেষ (কৃষি বা অকৃষি যাই হোক) বকেয়া খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য ১৯১৩ সালের বেঙ্গল পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি এক্ট মোতাবেক দায়ের কৃত সার্টিফিকেট মামলায় নিলামকৃত ভূমি সরকার ক্রয় করলে সেই ভূমিও খাস জমি হিসাবে গণ্য হবে৷
যে সব পরিবার বা সংস্থা প্রেসিডেন্টের আদেশ নং ৯৮/১৯৭২ এর ৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১০০ বিঘার অতিরিক্ত যে সমস্ত ভূমি সরকারের বরাবরে সমপর্ন করেছেন সেগুলি জমিও খাস জমি হিসাবে পরিগণিত হয়েছে৷
প্রেসিডেন্টের আদেশ নং ৯৮/১৯৭২ এর ৩ অনুচ্ছেদ এর “বি” উপ অনুচ্ছেদ এবং সংস্কার অধ্যাদেশ ১৯৮৪, অধ্যাদেশ নং ১০/১৯৮৪ এর ৪ নং ধারার ৩ উপধারা লংঘন করে কোন মালিক বা সংস্থা ১০০ বিঘার ও ৬০ বিঘার অতিরিক্ত কৃষি ভূমি ক্রয় করলে উক্ত অতিরিক্ত জমি সরকারের খাস জমি হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হবে৷
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদে (১) এর গ উপ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে অবস্থিত প্রকৃত মালিকাবিহীন যে কোন সম্পত্তি উক্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পতিত ভূমি/খালি ভূমি বা খাস ভূমি হিসাবে গণ্য হবে৷