আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
অস্তিত্ব পাওয়া ৫০ খাল নিয়ে কর্মপরিকল্পনার নির্দেশ

রাজধানী ঢাকার পূর্ব ও পশ্চিম অংশে মোট ৫০টি খালের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৬টি খাল পুনরুদ্ধার এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব বলেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এসব খালের মধ্যে রয়েছে- কল্যাণপুর খাল, কল্যাণপুর ‘খ’ খাল দুইটি, কল্যাণপুর ‘ঘ’, ‘ঙ’, ‘চ’ খাল, রামচন্দ্রপুর খাল, কাটাসুর খাল, ইব্রাহিমপুর খাল, কালশী খাল, আব্দুল্লাহপুর খাল, দিয়াবাড়ি খাল, গুলশান-বনানী খাল ।

এদিকে, এই ৫০টি খালের বর্তমান অবস্থান-অবস্থার প্রতিবেদন তৈরি, খালগুলোর মূল গতিপথ ঠিক রেখে সীমানা নির্ধারণ, দখল ও দূষণকারীদের তালিকা করে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওয়াপদার মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে ছয় মাসের মধ্যে এ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে হলফনামা আকারে তা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে ঢাকার খালগুলোর দূষণ-দখল এবং প্রবাহরোধ বন্ধে বিবাদিদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দখল খালগুলো পুনরুদ্ধারে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলনিশি জারি করা হয়েছে। ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানিসম্পদ সচিব, গণপূর্ত সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওয়াপদার মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজউক চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

খাল পুনরুদ্ধার, দখল-দূষণ রোধ, সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মিনহাজুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। পরে সাঈদ আহমেদ কবীর বলেন, ঢাকার খালগুলোর দখল-দূষণ, রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত সপ্তাহে বেলার পক্ষ থেকে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। সেটির শুনানি নিয়েই আদালত খাল রক্ষায় একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশসহ রুল দিয়েছেন।