
প্লট বিক্রির উদ্দেশ্যে রাজধানী ঢাকায় তিন দিনব্যাপী একটি একক আবাসন মেলার আয়োজন করেছে স্বপ্নধরা এ্যাসেটস্ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। ’ধরনীর বুকে স্বপ্নের ঠিকানা’ এ স্লোগানে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারে অবস্থিত হোটেল সুন্দরবনে “স্বপ্নধরা আবাসন মেলা” শুরু হয়। এ মেলা চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা মেলাটি সবার জন্য উম্মক্ত। সকলের আবাসন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন স্বপ্নধরা এ্যাসেটস্ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড এর কর্মকর্তারা।
জানা যায়, প্রস্তাবিত ৩০০ ফিট ঢাকা-পদ্মা সেতু মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে পরিকল্পিত নগর ‘স্বপ্নধরা’। ঢাকা জিরো পয়েন্ট থেকে দুরুত্ব মাত্র ২৩ মিনিট এবং রাজউক ঝিলমিল প্রকল্প থেকে দূরত্ব মাত্র ৯ মিনিট।
স্বপ্নধরা প্রকল্পে থাকছে- শিশুদের জন্য খেলার মাঠ ও থিম পার্ক। এছাড়াও থাকছে- স্পোর্টস ক্লাব, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, হেলথ ক্লাব, টেনিস কোর্ট, পার্কিং জোন, ওয়াটার গার্ডেন, আধুনিক শপিং সেন্টার, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কনভেনশন সেন্টার, সুপার শপ, ব্রীজ ও লেক, অফিস ও বাণিজিক স্থান, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ স্টেশন, অডিটোরিয়াম, কাঁচাবাজার, পোস্ট অফিস, হোটেল, নিরাপত্তা, মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ, কবরস্থান, মন্দির ও গীর্জাসহ আধুনিক বিশ্বমানের সব নাগরিক সুবিধা।
স্বপ্নধরা এ্যাসেটস্ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পছন্দকৃত প্লট খালি থাকা সাপেক্ষে গ্রাহক তাঁর প্লট বুকিং দিতে পারবেন। কোম্পানির নির্ধারিত বুকিং ফর্মে প্লট গ্রহীতার ২ কপি ও নমিনীর ১ কপি ছবি ও কাটা প্রতি ১০,০০০ হাজার টাকা বুকিং মানিসহ গ্রাহককে প্লটের জন্য প্রাথমিক বুকিং ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া, বুকিং মানি কাঠা প্রতি ১০,০০০ হাজার টাকা এবং ডাউন পেমেন্ট মোট মূল্যের ১৫% । এককালীন পণ্য পরিশোধের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পর এবং কিস্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডাউন পেমেন্ট পরিশোধের ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে গ্রহীতার সাথে কোম্পানির চুক্তিনামা সম্পন্ন হবে। অবশিষ্ট টাকা চুক্তি অনুযায়ী, ৬০, ৮৪, ৯৬ ও ১০০ কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। এককালীন প্লট বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের ৩ দিনের মধ্যে সাব-কাবলা রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করতে হবে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, প্লট রেজিস্ট্রেশনের সকল খরচাদি, নামজারী, কল্যাণ তহবীল, সকল প্রকার উন্নয়ন, হস্তান্তর, ভ্যাট, ট্যাক্স এবং সকল প্রকার উপযোগ খরচাদি কোম্পানি কর্তৃক কাঠা প্রতি নির্ধারিত হারে ক্রেতা বহন করবেন। প্রকল্প উন্নয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া ও চুক্তি মোতাবেক মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে প্লট রেজিস্ট্রেশন ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। প্লট বুকিং পরবর্তী মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোম্পানির নিয়মানুযায়ী নাম ও ব্লক/প্লট পরিবর্তন ফ্রি প্রদান করতে হবে। এছাড়া, আরো বেশ কয়েকটি নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে।
স্বপ্নধরা কর্মকর্তারা বলেছেন, সুনিদির্ষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠ ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা। আর আমাদের লক্ষ্য আবাসন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা। সৎ ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা প্রণয়ণে আমরা কোনো আপোষ করিনি। তাই এর বাস্তবায়নেও ক্রেতারা আমাদের উপর শতভাগ আস্থা রাখতে পারেন।
বর্তমানে প্রকল্পের পাশে আছে উপজেলা পরিষদ, পুলিশ স্টেশন, এসি ল্যান্ড ও সাবরেজিষ্ট্রি, অফিস মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, ৫টি মসজিদ। কেন স্বপ্নধরাতে প্লট কিনবেন? |
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এসকে