আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস উদ্যাপন করবে এনবিআর

‘ভ্যাট দিচ্ছে জনগণ, দেশের হচ্ছে উন্নয়ন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এবার রাজধানী ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উদ্যাপন হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর (রোববার) ভ্যাট দিবস এবং ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদ্যাপনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সাত দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বরাবরের মত এবারও উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা খাতে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে। একইসাথে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীকে সম্মাননা জানাবে এনবিআর। ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে পোস্টার, উৎসাহব্যঞ্জক শ্লোগান সম্বলিত স্টিকার, বিলবোর্ড, বেলুন, বর্ণিল ফেস্টুন ও ব্যানার থাকবে। রেডিও, টেলিভিশন, প্রিন্ট এবং অনলাইনভিত্তিক মিডিয়ায় তথ্যভিত্তিক ডকুমেন্টরীসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৭ ডিসেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ভ্যাট দিবস ও সপ্তাহ উদ্যাপনের উদ্দেশ্য হলো সুশাসন ও উন্নততর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অনুসরণ করে ভ্যাট প্রদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করার পাশাপাশি ভ্যাটকে জনগণের কাছে সহজবোধ্য করা। এর মাধ্যমে ভ্যাট কর্মকর্তাদের সঙ্গে করদাতাদের সুসম্পর্ক স্থাপন ও রাজস্ব আহরণ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব বোর্ড করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহ দিতে উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্য এবার আয়কর মেলায় বড় আকর্ষণ ছিল আয়কর পরিচয়পত্র প্রদান। এরই ধারাবাহিকতায় ভ্যাট সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিতে এবার প্রথমবারের মত তাদেরকে ভ্যাট সম্মাননা কার্ড প্রদান করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান ১২ মাস নিয়মিতভাবে দাখিলপত্র জমা দিয়েছে তারাই এই কার্ড পাবেন বলে তিনি জানান।

নজিবুর রহমান বলেন, রিটার্ন বা দাখিলপত্র জমা দেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বর্তমানে ৩২ হাজার থেকে বেড়ে ৬০ হাজারে উন্নিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ হাজার প্রতিষ্ঠান ১২ মাস ধরে নিয়মিতভাবে দাখিলপত্র জমা দিয়েছে। এই ৩৫ হাজার প্রতিষ্ঠান এবার ভ্যাট সম্মাননা কার্ড পাবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। গতবছরের একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে শুল্ক খাতে ২১ দশমিক ১৮ শতাংশ

সম্পাদনা: আরএ/জেডএইজ/আরসি