আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
আ.লীগের আমলেই ৪০% সরকারি চাকুরেদের আবাসন: গণপূর্ত মন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ৪০ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জে বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাপিডিপ্রকৌস) আয়োজিত ‌’চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সংকট রয়েছে। তাঁদের এই আবাসন সংকট দূরীকরণে সরকার কাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ৪০ শতাংশ সরকারি চাকুরেদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

বিএনপি আসলে দেশ পিছিয়ে যায় উল্লেখ করে গৃহায়ণ মন্ত্রী বলেন, আমি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কাজ চালু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি এসে তার কার্যক্রম দুর্বল করে দেয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় প্রাণ ফিরে পায় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এখন আমরা ২০ তলা, ৪০ তলা ভবন করছি। বস্তিবাসীদের ফ্ল্যাট দিচ্ছি।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, সারা দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সংকট দূর করার জন্য কাজ করছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম ৮ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন। সেটাকে ৪০ শতাংশে নিয়ে যেতে কাজ করছি। রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় অনেক পুরনো বাড়ি আছে সেগুলো ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি বলেও তিনি জানান।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা অবকাঠামো নির্মাণের মূল প্রাণ শক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের কাজে সবসময় মাঠে থাকেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা। তাদের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজগুলো হয়। মানসম্পন্ন কাজ করতে গেলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা আছে।

গণপূর্ত অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাই, আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি (চট্টগ্রাম অঞ্চল) জাফর আহমেদ সাদেক, বাপিডিপ্রকৌস কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি মো: আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক মো: আলী আকবর সরকার।

এছাড়া, চট্রগ্রাম অঞ্চলের সদস্য প্রকৌশলী এবং প্রতিটি জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।

সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় পদায়িত এক লাখ ৪৮ হাজার ৯১৫ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশ আবাসন সুবিধা ভোগ করছেন। বাকিদের অনেক সময়ই বেসরকারিভাবে ভাড়া বাসায় নিন্মমানের জীবনযাপন করতে হয়, যা তাদের কর্মক্ষমতায় বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিষয়টি অনুধাবন করে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবাসন সুবিধা বাড়ানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে নিদের্শনা দিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবাসন পরিদপ্তর ২০১৭ সালের মধ্যে ১৬ হাজার ৯৬৮টি এবং ২০১৯ সালের মধ্যে ১৮ হাজার ২৭৬টি ফ্ল্যাট করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য পূরণ করা গেলে আবাসন সুবিধা বর্তমানের ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশে পৌঁছবে।

এদিকে, সরকারি চাকুরেদের আবাসন সংকট নিরসনে গত ২৮ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পৃথক তিনটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর আজিমপুর, মতিঝিল ও জিগাতলায় এক হাজার ৯৬০টি ফ্ল্যাট তৈরি করবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ফ্ল্যাটগুলো তৈরিতে ব্যয় হবে এক হাজার ৫৫১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।

সম্পাদনা: এনএ/আরবি/জেডএইচ