আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
নতুন ঠিকানা পেলো গৃহহীন ২৫৭ পরিবার

জমি আছে ঘর নাই- কক্সবাজারের মহেশখালীর এমন ২৫৭টি পরিবার পেলো নতুন ঠিকানা। সরকারের ‘নিজ জমিতেই গৃহ নির্মাণ’ দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হচ্ছে ২৫৭টি ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ২৫৭টি ঘর নির্মাণের কাজ আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।

থাকার জন্য স্থায়ী জায়গা পেয়ে আনন্দে উচ্ছাসিত পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের বলেছেন, জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া একটি ঘর। আজ কোনো বিনিময় ছাড়াই সেই একটি ঘর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন অন্তত একটি মাথা গোজার ঠাঁই হলো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যা হয়নি, তিনি তা করে দিয়েছেন। এখন ঘরে বাকি জীবন কাটাতে পারবো। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্বপ্ন পূরণ হওয়া গৃহহীন ২৫৭ পরিবার।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল আলম সাকিব সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ২৫৭টি ঘরের মধ্যে মাতারবাড়ি ইউনিয়নে ৩৬টি, কালারমারছড়ায় ৩২টি, মহেশখালী পৌরসভায় ৪৯টি, ধলঘাটায় ১০টি, শাপলাপুরে ২৬টি, হোয়ানকে ১৩টি, কুতুবজুমে ৫৭টি, বড় মহেশখালীতে ২৪টি ও ছোট মহেশখালীতে ২০টি ঘর নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটি বাড়ির জন্য এক লাখ টাকা করে মোট ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

পরের পর্যায়ে উপজেলায় আরও ১ হাজার ২৪৩টি ঘর নির্মাণ করা হবে বলেও জানান শফিউল আলম।

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছারারলামা গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে ৪২ বছরের যুবক ইসহাক বলেন, আমার একটি ঘর হবে, তা কল্পনাও করিনি। দীর্ঘদিনের সমস্যার নিরসন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এই ঘর আমার জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে। এই ঘর পেতে এক টাকাও খরচ হয়নি বলেও তিনি জানান।

মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন, হতদরিদ্র লোকজন কোনো খরচ ছাড়াই ঘর পাচ্ছেন।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত প্রকল্পটি দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়িত হচ্ছে। অন্য সরকার যা করেনি, তিনি করে দেখাচ্ছেন। এ প্রকল্প চলমান থাকবে। হতদরিদ্র ও গৃহহীন সব মানুষই ঘর পাবেন।