
এবার ঢাকার বনশ্রী ও ধানমন্ডি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অভিযানে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) উক্ত দুই এলাকায় যে সকল প্লট, ভবন ও ফ্ল্যাটে অবৈধভাবে গেস্ট হাউজ, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, বারসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং ফুটপাতে অবৈধ র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে এগুলো বন্ধ করতে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার এবং অঞ্চল-৫ (ধানমন্ডি, লালবাগ) এর অথরাইজড অফিসার আশীষ কুমার সাহা।
রাজউকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও প্রটোকল) মো. আতিকুর রহমান সাংবাদিককের জানিয়েছেন, ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার এবং অফিসার আশীষ কুমার সাহার নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স পরিচালিত অভিযানে ধানমন্ডির ১০ নম্বর রোডের ১ নম্বর হোল্ডিংয়ে ‘আলতা প্লাজা’ চারতলা নির্মাণের অনুমোদন নিয়ে ছয় তলা ভবন নির্মাণ করায় ভবন মালিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভবনের অবৈধ অতিরিক্ত দুইটি ফ্লোর এক মাসের মধ্যে অপসারণের জন্য ভবন মালিকের মুচলেকা নেওয়া হয়।
একই রোডের ২ নম্বর হোল্ডিংয়ে ‘বে ডেভেলপমেন্ট’ এর একটি ভবনের সেট-ব্যাক (আবশ্যিক উন্মুক্ত জায়গা) এর ভিতরে অবৈধভাবে জেনারেটরের জন্য কক্ষ নির্মাণের দায়ে ভবন মালিককে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জেনারেটরের কক্ষটি আংশিক উচ্ছেদ করে বাকি অংশ এক মাসের মধ্যে অপসারণের জন্য ভবন মালিকের মুচলেকা নেওয়া হয়।
এছাড়া, নির্মাণরত ভবনের চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় মিরপুর রোড সংলগ্ন ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে ৩ দিনের মধ্যে নিরাপত্তা বেষ্টনি দেয়ার জন্য মুচলেকা নেওয়া হয়।
এদিকে, বনশ্রী এলাকার ‘এ’ ও ‘বি’ ব্লকে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আজমের নেতৃত্বে ৭৮টি বাড়ির সামনের অবৈধ র্যাম্প (গাড়ি ওঠা-নামার ঢালু সিঁড়ি) অপসারণ করা হয়।
উচ্ছেদ কার্যক্রমে রাজউকের অঞ্চল-৬ এর অথরাইজড অফিসার নুরুজ্জামান জাহির, সহকারী অথরাইজড অফিসার মাসুক আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উচ্ছেদ কার্যক্রমে আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য সেবাদানকারী সংস্থা সহায়তা প্রদান করে।
সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এসকে