
দেশের ২৬ জেলায় অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ তথ্য ভবন নির্মাণ করছে সরকার। প্রচার মাধ্যমগুলোকে আরো আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালি করার লক্ষ্যে ভবনগুলো করা হচ্ছে। এ ছাড়াও পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪টি জেলায় তথ্য ভবন নির্মাণ করবে সরকার।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটে বেতার ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এটুআই’ প্রকল্পের আওতায় ‘ব্র্যান্ডিং সিলেট’ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ এসব কথা জানান।
তথ্য সচিব বলেন, দেশের ২৬ জেলায় আধুনিক তথ্য ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
মরতুজা আহমেদ আরও বলেন, সরকারের গৃহিত সকল কর্মসূচির মূল লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৪টি সংস্থা এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্য সচিব বলেন, তৃণমূল মানুষের কাছে যেকোনো তথ্য পৌঁছানোর সহজ উপায় হচ্ছে প্রচার মাধ্যম। সেটি রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হতে পারে। সরকারের গৃহিত যেকোনো কর্মসূচি, সরকারে অর্জন, জনগণের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা তুলে ধরতে প্রচার মাধ্যমের আরো আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ব্র্যান্ডিং বিষয়ে মরতুজা আহমেদ বলেন, বহিঃর্বিশ্বের কাছে আমাদের দেশের কিছু-কিছু নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড আছে। আবার দেশের অভ্যন্তরে প্রতিটি অঞ্চলে একেকটি ব্র্যান্ড দিয়ে তার পরিচয় ও সুখ্যাতি রয়েছে।
সচিব বলেন, প্রতিটি জেলার স্বতন্ত্র ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, খ্যাতি ইত্যাদি হচ্ছে ওই এলাকার ব্র্যান্ড। এই কর্মসূচির আওতায় সরকারের প্রতিটি অঞ্চলের ব্র্যান্ডগুলো প্রচারের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে সেটা তুলে ধরতে হবে। এটা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং সমৃদ্ধির পথকে আরো তরান্বিত করবে।
মরতুজা আহমেদ বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় আগের চেয়ে এখন আরো বেশি শক্তিশালি। বর্তমান সময়ে এ মন্ত্রণালয় সরকারের আন্তরিকতায় অনেক অসম্ভব কাজ সম্ভব করতে সক্ষম হয়েছে। গৃহিত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে সংস্থাগুলো আরো বেশি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হবে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেতার, সিলেট-এর আঞ্চলিক পরিচালক মো. ফখরুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ বেতার, সিলেটের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিক, মোহাম্মদ আব্দুল হক, সিলেট আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলি, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি আজিজ আহমদ সেলিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিলেট প্রতিনিধি মকসুদ আহমদ মকসুদ।
সম্পাদনা: জেডএইজ/আরবি/এসকে