
ভেতরের দেয়াল ও ছাদে চোখ জুড়ানো সূক্ষ্ম কারুকাজ, বাইরে সুদৃশ্য বাগান এবং মনোরম ঝরনা, সিনেমা হল ও পানির নিচে বিশেষভাবে তৈরি স্বচ্ছ কাঁচের লবি। এমন সব দৃশ্য মিলবে একটি প্রাসাদে। প্রাসাদটির ভিভরে প্রবেশ করলে চোখ জুড়াবে সব মানুষেরই। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ৫৭ একর জমির ওপর নির্মিত এই প্রাসাদটি ‘স্যাতো লুইস ১৪’ নামে পরিচিত। সপ্তদশ শতাব্দীর আদলে নির্মাণ করা এই প্রাসাদটি কিনছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আড়াই হাজার কোটি টাকায় (৩০০ মিলিয়ন ডলার) তিনি এটি কিনছেন। বলা হচ্ছে, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি।
নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, সৌদি মালিকানাধীন আবাসন কোম্পানির নির্মাণকরা রাজকীয় ওই প্রাসাদটিতে অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাখা হয়েছে একটি সিনেমা হল, সুইমিংপুল ও পানির নিচে বিশেষভাবে তৈরি স্বচ্ছ কাঁচের লবি। যেখান দিয়ে গেলে দুপাশে দেখা যাবে রঙিন মাছসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর আনাগোনা। রাজকীয় নকশায় ছেয়ে থাকা প্রাসাদের ভেতরের দেয়াল ও ছাদে রয়েছে চোখ জুড়ানো সূক্ষ্ম কারুকাজের ছড়াছড়ি। প্রাসাদের বাইরে রয়েছে সুদৃশ্য বাগান এবং মনোরম ঝরনা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে একজন বেনামি ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয় প্রাসাদটি। ওই সময় ক্রেতার নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজ পরিবারের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ওই প্রাসাদের মালিক সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
উল্লেখ্য, বিলাসবহুল জীবন যাপনে সুখ্যাতি আছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। সম্প্রতি ৪৫০ মিলিয়ন ডলারে শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা একটি চিত্রকর্ম কেনেন তিনি। ২০১৫ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলারে কেনেন একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী।
সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এসকে