
রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) শীতকালীন আবাসন মেলায় অংশ নিয়েছে ১৩ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠানের ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ঋণ দিচ্ছে। সে জন্য তাদের স্টলে খোঁজখবর নিচ্ছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হয়েছে আবাসন মেলা খাতের সবচেয়ে বড় মেলা রিহ্যাব ফেয়ার-২০১৭। এর আয়োজন করেছে আবাসন খাতের একমাত্র সংগঠন রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। শীতকালীন এই মেলা শেষ হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিআইসিসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রিহ্যাব ফেয়ারের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এবারের ফেয়ারে ২০৫টি স্টল রয়েছে। এই ফেয়ারে ৩০টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১৩ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। আর কো-স্পন্সর হিসেবে আছে মোট ২৪টি প্রতিষ্ঠান। মেলায় ফ্ল্যাট, প্লট, ঋণ ও নির্মাণ সামগ্রীসহ সব খাতেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন এখানে অংশগ্রহণকারী। এতে তারা মনে করছেন, আগের তুলনায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন খাতের স্টলে তথ্য সরবরাহকারীদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বিকালে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ সামগ্রী, স্যানেটারিসহ বিভিন্ন ধরনের স্টল তাদের স্ব স্ব পণ্য প্রদর্শন করছে। প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রাহকদের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে।
মেলায় অংশ নেওয়া ফ্ল্যাট বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকো প্রপাটিজের ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মেলার মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। তাদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখি। পরে যোগাযোগ করলে ভাল সাড়া পাওয়া যায়।
প্লট বিক্রয়কারী কোম্পানি মেরীন সিটির অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার (কর্পোরেট) আদনান ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, মেলায় দুই দিনে ৮টি প্লট বিক্রি হয়েছে। আরো কয়েকটি বিক্রির অর্ডার পেয়েছি। শেষদিন পর্যন্ত আশাকরি, ২০টির বেশি প্লট বিক্রি হবে।
আবাসন নির্মাণে ঋণ দেয়ার জন্য মেলায় অংশ নিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ফ্ল্যাট ও প্লট দেখার পাশাপাশি ঋণ নেওয়ার আগ্রহও দেখা গেছে মেলায় আগতদের মধ্যে। ঋণ নেওয়ায় গ্রাহকদের আগ্রহ কেমন জানতে চাইলে ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টম্যান্ট লিমিটেডের রিলেশনশীপ ম্যানেজার (গাজীপুর সেলস সেন্টর) আবু নোমান বলেন, ভালো সাড়া পাচ্ছি। মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছি আমরা। এর সাথে প্রসেসিং ফি ৭৫ পয়সা নেওয়া হচ্ছে।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের স্টলে থাকা কর্মকর্তারা জানান, এই ব্যাংক সাড়ে ৮ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। এর সাথে প্রসেসিং ফি ৬২ শতাংশ নেওয়া হয়।
গ্রাহকদের আগ্রহ দেখে খুশি স্যানেটারি কোম্পানিগুলোও। এমইএল গ্রুপের ম্যারকুইস স্যানেটারির সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ জাবেদ হোসাইন বলেন, মানুষ আসছে। পণ্য দেখছে। দাম জানছে। কেউ কেউ অর্ডারও দিচ্ছে। বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে গ্রাহকদের মধ্যে।
এদিকে, এর কো-স্পন্সর বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি) ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ঋণে ‘আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি’র উপর ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।
সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এসকে