আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
বিএইচবিএফসি’র পল্লী আবাসন ঋণে ব্যাপক সাড়া

পল্লী অঞ্চলের জনসাধারণের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ‘পল্লী আবাসন ঋণ কর্মসূচি’ চালু করেছে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)। কর্মসূচির আওতায় বাড়ি নির্মাণের জন্য একক ঋণ, গ্রুপ ঋণ এবং ফ্লাট ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়া দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকা, উপশহর, উপজেলা সদর এবং গ্রোথ সেন্টারের নাগরিকরা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী দেশের যেকোনো নাগরিক ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ফ্লাট ঋণের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ডেভেলপারের নির্মাণ করা ফ্লাট ক্রয়ে আগ্রহী হতে হবে। প্রথমবারের মতো রিহ্যাব ফেয়ারে অংশ নেওয়া বিএইচবিএফসির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। কো-স্পোন্সর হিসেবে মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানটির স্টল নম্বর ২৪।

স্টলে উপস্থিত বিএইচবিএফসি’র কর্মকর্তারা পল্লীমা নামে তাদের পল্লী আবাসন ঋণ কর্মসূচি সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বলেন, সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বিশেষকরে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪০ বাস্তবায়নের পল্লী অঞ্চল জনসাধারণের অবাসন সুবিধা নিশ্চিতের জন্য বিএইচবিএফসি পল্লী আবাসন ঋণ কর্মসূচি চালু করেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়া দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকার জন্য ৮.৫ শতাংশ সুদ হারে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। পেরি আরবান, উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টার এলাকায় ৮.৬ শতাংশ সুদে ৫০ লাখ পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণের জন্য একক ঋণ দেওয়া হয়। বাড়ি নির্মাণের জন্য গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে ৮.৫ শতাংশ সুদে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। ফ্লাট ক্রয়ের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়া দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকার জন্য ১০ শতাংশ সুদে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। আর পেরি আরবান ও উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টার এলাকায় ৯ শতাংশ সুদে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। তবে ঋণ পরিশোধের মেয়াদের ওপর সুদ কমবেশি হতে পারে।

পল্লী আবাসন ঋণে বিএইচবিএফসি’র স্টলে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, গ্রুপে আবাসিক ভবন নির্মাণ করতে চাইলে গ্রুপ ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে। সরকারি চাকরিজীবী এবং কর্মজীবী নারীরা আবাসন ঋণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ঋণ গ্রহীতার মাসিক কিস্তি পরিশোধের যৌক্তিক সার্মথ্য থাকতে হবে।

হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্মকর্তারা বলেন, শহরের ওপর জনগণের অব্যাহত চাপ কমানো, পল্লী এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, শহরে ঘনবসতির চাপ কমানোসহ আরো অনেকগুলো কারণে এ ‘পল্লীমা ঋণ প্রকল্প’ চালু করেছে সরকার। এতে গ্রামাঞ্চলের মানুষের আবাসন সুবিধা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।

সম্পাদনা: আরএ/এমএন/টিআর