
আজ ৯ জানুয়ারি থেকে গৃহায়ন, নির্মাণ উপকরণ প্রদর্শনী শুরু হওযার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত তা পিছিয়ে শুরু হচ্ছে ২৫ জানুয়ারি। রাজধানী ঢাকার মিরপুর দারুস সালাম রোডে অবস্থিত হাউজ এন্ড বিল্ডিং রির্সাচ ইনস্টিটিউট (ক্যাম্পাস) এর একজিবিশন হলে এই প্রদর্শনী শুরু হয়ে চলবে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। প্রদর্শতে কৃষিবান্ধব, পরিবেশবান্ধব, দুর্যোগ সহনীয় ও টেকসই এবং সর্বোপরী জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নির্মাণ প্রযুক্তি ও উপকরণের সমাহার ঘটবে।
প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় এবং আরো বেশি পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহনের সুযোগ দেওয়ার জন্য এই প্রদর্শনী পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা গ্রীনবিজ অ্যাড পয়েন্টের প্রধান নির্বাহী আফতাব বিন তমিজ।
হাউজ এন্ড বিল্ডিং রির্সাচ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই প্রদর্শনী ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে গ্রীনব্রিজ এ্যাড পয়েন্ট। এইচবিআরআই ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, অর্থ প্রতিমন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রির্সাচ ইনস্টিটিউট পরিচালক আবু সাদেক পিইঞ্জ।
মেলা উপলক্ষে ২১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে মেলার বিষয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন এইচবিআরআই এর পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক পিইঞ্জ। অনুষ্ঠানে বিকল্প নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহারে কম খরচে নির্মিত ও নির্মাণাধীন স্থাপনার কয়েকটি স্থাপনার প্রদর্শনী প্রদর্শন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যেসকল প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে তার মধ্যে হলো– বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ইন্ডাস্ট্রি, ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ফার্ম, রিয়েল এস্টেট, ডেভলপার, সেফটি এন্ড সিকিউরিটি, স্টিল ম্যাটেরিয়ালস, সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি, অটো ব্রিকস, পেইন্ট, টাইলস্ এন্ড ফিটিংস, ফার্ণিচার, ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স আইটেম, লিফট, জেনারেটরস, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও, ব্যাংক এন্ড ফাইনান্সসিয়াল ইনস্টিটিউট।
জানা যায়, ২১ শতাব্দীর পরিবেশ ভারসাম্য ও প্রতিযোগিতামূলক নির্মাণ ব্যয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাস্তভিটা প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে এবং ঘটছে। এই সমস্ত গবেষণা লব্ধ বাংলাদেশের প্রাচীন প্রতিষ্ঠান হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রির্সাচ ইনস্টিটিউট ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে।
বাড়ি নির্মাণের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ: প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিষ্ঠান এবং রিহ্যাবের সদস্যভূক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এক বা একধিক প্রকৌশলীকে কর্মশালার মাধ্যমে মান সম্মত ও টেকসই বাড়ি নির্মাণের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এইচবিআরআই জানিয়েছেন, গৃহায়ন, নির্মাণ উপকরণ ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে সরকারি বেসরকারি সংশ্লিষ্ট গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদনকারী ও সেবাদানকারীদের দক্ষতা সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে টেকসই পণ্য প্রদর্শনীর অপূর্ব সুযোগ ঘটবে।
প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য সর্ম্পকে কর্মকর্তারা বলেন, প্রস্তাবিত গৃহায়ন, নির্মাণ উপকরণ ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীর মূখ্য উদ্দেশ্য গৃহ নির্মাণে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে সর্বশেষ টেকসই পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির খবর পৌঁছে দেওয়া ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের জনগণকে সচেতন করে তোলা। সকলের জন্য গৃহ বা বাসস্থান যা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার মৌলিক শর্তের অন্যতম অনুসংগের বাস্তবায়ন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সীমিত সম্পদ ও দেশজ নির্মাণ উপকরণের সরোচ্চ ব্যবহার করে বিপুল জনগোষ্ঠির আবাসন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘গণপূর্ মন্ত্রণালয়ের’ অধীনে বিল্ডিং সেন্টার প্রকল্প অনুমোদন করে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি হাউজ এন্ড বিল্ডিং রির্সাচ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান রুপ লাভ করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহম্মাদ আবু সাদেক পিইঞ্জ, গ্রিনবিজ অ্যাডপয়েন্টের প্রধান নির্বাহী আফতাব বিন তমিজ ।
অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা (প্যাভিলিয়ন ও স্টল)
প্যভিলিয়ন—————–২,৫০,০০০/-
১. ১৬ ফিট x ১৬ ফিট প্যাভিলিয়ন প্রদান করা হবে।
২. প্যাভিলিয়নে ২টি টেবিল, ৬টি চেয়ার ও ৬ টি আইডি কার্ড প্রদান করা হবে।
৩. ৬ জনের খাদ্য সরবারহ করা হবে।
সাধারণ স্টল—————-৫০,০০০/-
১. ৮ ফিট x ৮ ফিট প্যাভিলিয়ন প্রদান করা হবে।
২. স্টলে টি টেবিল ২ টি চেয়ার ও ২ টি আইডি কার্ড প্রদান করা হবে।
৩. ২ জনের খাদ্য সরবারহ করা হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সকল প্রদত্ত অর্থ “AD POINT ’’ এর নামে পে-অডার/চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এসকে