আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
ভিসি ভবন ছাড়ছেন না আরেফিন সিদ্দিক

ভিসি ভবন ছাড়ছেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক। মেয়াদ শেষে পদ ছেড়েছেন চার মাসেরও বেশি, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি ভবন ছাড়েননি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। গত ৪ সেপ্টেম্বর নতুন ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে এ পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ। ভিসি ভবন খালি না হওয়ায় সেখানে উঠতে পারেননি ভিসি ড. আখতারুজ্জামান।অফিস সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অফিস সময় ছাড়াও একজন ভিসিকে বাসভবনে বসেই অনেক কাজ করতে হয়। অফিস শেষ করে অন্যান্য কাজ তার বাসভবনে বসেই করেন। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাসভবনে আসেন। প্রো-উপাচার্য ভবন অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় সেখানে সমস্যা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা যায়, উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রাধ্যক্ষদের বাসা ও বাংলো ‘ইয়ারমার্ক’ বাসা হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই এসব বাসা এবং তা সংশ্লিষ্ট সব সুবিধাদি ওই পদে বহাল ব্যক্তিরা ভোগ করবেন। গত ৩০ অক্টোবর আরেফিন সিদ্দিককে প্রভোস্ট কমপ্লেক্সে একটি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়।১৯৯২ সালে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের পর থেকে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের আগ পর্যন্ত ঢাবিতে যে কয়জন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের মধ্যে মেয়াদ শেষে সর্বোচ্চ ২৭ দিন পর ভিসি ভবনে অবস্থান করেছিলেন অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। সর্বনিম্ন ১০ দিন ছিলেন অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। এ ছাড়া অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ ২০ দিনের মাথায় বাসা ছাড়েন। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ নতুন ভিসি নিয়োগের আগেই বাসা ছেড়ে দেন। কিন্তু অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক নতুন ভিসি নিয়োগের সাড়ে চার মাস পরও ভবন ছাড়েননি।

আরেফিন সিদ্দিক উপাচার্য ভবন না ছাড়ায় প্রো-উপাচার্য ভবন থেকেই অফিস করছেন নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত এস্টেট ম্যানেজার সুপ্রিয়া দাস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিককে জানানো হয়। চিঠিতে ভিসি ভবন খালি করার লক্ষ্যে শহীদ এমএ মুক্তাদির ভবনের (প্রভোস্ট কমপ্লেক্স) ৬ষ্ঠ তলার বাসাটি বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ১৯৮৬ সালের সিন্ডিকেটে গৃহীত বাসা বরাদ্দের নীতিমালা অনুযায়ী নিজের নামে বরাদ্দ করা বাসা বুঝে নিয়ে ভিসি ভবন বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিতেও বলা হয় ওই চিঠিতে। কিন্তু নতুন বাসা বরাদ্দ পাওয়ার কিছুদিন পর ৬ষ্ঠ তলার বাসাটি নিতে অপারগতা জানিয়ে ওই ভবনের সাত তলার বাসাটির জন্য আবেদন করেন। পরে তার চাহিদা অনুযায়ী সেই বাসাও তার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত এস্টেট ম্যানেজার সুপ্রিয়া দাস আমাদের সময়কে বলেন, প্রথমে তাকে যে বাসা দেওয়া হয়েছে সেটি পছন্দ হয়নি। পরে তার পছন্দমতো বাসা দেওয়া হয়েছে। বাসার সব কাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। তিনি চাইলে যে কোনো সময় বাসায় উঠতে পারেন।জানতে চাইলে উপাচার্য আখতারুজ্জামান আমাদের সময়কে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানেন উপাচার্যের বাসভবনে বসে কী কী কাজ করতে হয়। এটা একটা মূল্যবোধের বিষয়। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক এ বিষয়ে আমাদের সময়কে বলেন, আমি কবে বাসা ছাড়ব, নতুন বাসায় উঠব সাংবাদিক হিসেবে তুমি আমাকে এ প্রশ্ন করতে পার না।আমাদের সময়।