
সরকারিভাবে রাজধানীর আশকোনায় হজযাত্রীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বহুতলবিশিষ্ট একটি হজক্যাম্প। হজযাত্রীদের জন্য পৃথকভাবে তৈরি করা হয়েছে আটটি বিশাল আকারের ডরমিটরি। হজ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হজযাত্রীরা এখানে অবস্থান নিয়ে সৌদি আরবে হজ পালন করতে যান। বছরে দুই মাস হজক্যাম্পের এসব ডরমিটরি হজযাত্রীরা ব্যবহার করলেও বাকি ১০ মাস খালি থাকে। এ সুযোগে ক্যাম্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিনা ভাড়ায় সেখানে বসবাস করছেন। এতে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল বাবদ সরকারের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় কোটি টাকা।
সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আশকোনা হজক্যাম্পে ধর্ম মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রায় একশ’র বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। অথচ, হজক্যাম্প এলাকায় কর্মচারীদের জন্য সরকারিভাবে কোনো আবাসন নেই। বরাদ্দ নেই হজক্যাম্পের কোনো বাসা। এ কারণে একটু সুযোগ-সুবিধা পেতে কর্মচারীরা বাকি ১০ মাস অবৈধভাবে হজক্যাম্পের ডরমিটরি ব্যবহার করছেন।
ডরমিটরিতে বসবাসকারীদের মধ্যে রয়েছেন- সহকারী হজ অফিসার আবদুল মালেক, প্রধান সহকারী আবদুর রহিম, উচ্চমান সহকারী আবদুল আওয়াল, পরিচালকের গাড়িচালক সালাউদ্দিন, অফিস সহকারী আহমেদ মোস্তফা, রাশেদা খাতুন, দেলোয়ার, ফাতেমা খাতুনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ ছাড়া হজক্যাম্পের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম সপরিবারে ডরমিটরি ব্যবহার করছেন।
এ ব্যাপারে হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, হজক্যাম্পের ডরমিটরি ব্যবহার অবৈধ। কর্মীরা ডরমিটরি ব্যবহার করায় পানি, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের অর্থ অপচয় হয়।
সংশ্নিষ্ট এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হজক্যাম্পের ডরমিটরিতে বসবাস করার সুযোগ থাকায় বছরে কমপক্ষে এক লাখ টাকা সাশ্রয় হয়। আশকোনা এলাকায় বাসা ভাড়া অনেক বেশি বলে জানান তিনি।
সম্পাদনা: এসএল/জেডএইচ/আরবি