
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) নতুন নির্মিত স্টোপ থেকে ৩ শিফটে পুর্ণমাত্রায় পাথর উত্তোলন কার্যক্রম চলছে। পুরোদমে কাজ শুরু হওয়ায় দৈনিক ৩ শিফটে ৩ হাজার মেট্রিক টনের অধিক পাথর উত্তোলন হচ্ছে। খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আওরঙ্গজেব মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এসএম আওরঙ্গজেব বলেন, আজ মঙ্গলবার ৩ শিফটে পাথর উত্তোলন হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ১শ মেট্রিক টন। ৩ শিফটে পাথর উত্তোলনের পাশাপাশি নতুন স্টোপ নির্মাণ ও খনি উন্নয়নের কাজও সমান ভাবে চলছে। খনির ৬, ৭ ও ৯নং ফেস থেকে পাথর উত্তোলনের কাজ চলছে এবং ৮ ও ১০ নং ফেস থেকে উন্নয়ন কাজে পাথর উত্তোলন হচ্ছে। চলমান ৩টি ফেসের পাথর উত্তোলন শেষ হলে উন্নয়ন করা ২টি ফেস থেকে পাথর উত্তোলন শুরু হবে। এভাবেই খনি থেকে পাথর উত্তোলনের পরিমাণ বাড়বে।
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির সহকারী ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান পুলক জানান, খনির পাথর উত্তোলনে চলমান রাখতে অত্যাধুনিক ও বিশ্বমানের বিদেশী মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশ আমদানী করে খনির ভু-গর্ভে স্থাপন করা হয়েছে। এসব যন্ত্রাংশ স্থাপনে পাথর উত্তোলনে জিটিসি কাজের ব্যাপারে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। জিটিসি সফলতার সাথে ৩ শিফটে পাথর উত্তোলন করছে এবং উত্তোলন কাজ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, মধ্যপাড়া পাথর খনির উন্নয়ন ও পাথর উত্তোলনে পাথর খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠাান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর অধীনে প্রায় ৭০০ জন শ্রমিক ও প্রায় ৭০ জন রাশিয়ান ও বেলারুশিয়ান খনি বিশেষজ্ঞ এবং অর্ধশতাধিক দেশী প্রকৌশলী নিয়োজিত রয়েছে। নিয়োজিত প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞ এবং শ্রমিকেরা দিনে ও রাতে ৩ শিফটে খনি উন্নয়ন ও পাথর উত্তোলন কাজ করছেন।
দেশে দিনাজপুর পার্বতীপুর উপজেলায় মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির পাথরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উত্তোলিত পাথরের চাহিদা থাকায় ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী পাথর সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাথর উত্তোলনের সাথে সাথেই সমুদয় পাথর বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। মধ্যপাড়া পাথর খনিতে বর্তমানে ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র মাধ্যমে যে কর্মযজ্ঞ চলছে তাতে খনিটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে এমনটি আশা করছেন খনি কর্তৃপক্ষ।
সম্পাদনা: জেডএইচ/আরবি/এমএন