আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
ঢাকায় প্লট পাচ্ছেন নতুন সংসদ সদস্যরা

নতুন সংসদ সদস্যদের রাজধানী ঢাকায় প্লট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা (নতুন সংসদ সদস্যরা) প্লটের কথা বলেছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। আমার কাছে যা আছে আমি সব তাঁকে দেখিয়েছি। যারা এখনো পায়নি, তাদের প্রোভাইড (বরাদ্দ দেওয়া) করার জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন। আমরা সেটা করবো। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী একথা জানান।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি মন্ত্রী সংসদকে জানিয়েছিলেন, নতুন কোনো আবাসন প্রকল্প চালু না হলে ঢাকায় সরকারিভাবে প্লট বা বাড়ি বরাদ্দ পাবেন না প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। সেদিন তিনি বলেন, সরকার যদি সংসদ সদস্যদের নামে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার নীতিমালা তৈরি করে বা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কিংবা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ যদি নতুন করে কোনো আবাসন প্রকল্প হাতে নেয়, সেক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে।’

আবার ২৮ জানুয়ারি মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে রাজধানী, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ১৭৯ জন সংসদ সদস্য প্লট ও ফ্ল্যাট পেয়েছেন।

৫ ফেব্রুয়ারি সংসদে গৃহায়নমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে দেড় লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকেন। তাদের মাত্র ৮ শতাংশকে আমরা আবাসন সুবিধা দিতে পারছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনন্ত ৪০ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আবাসন সুবিধা দিতে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ হাতে নিয়েছি। যেসব সরকারি ভবন চার তলা আছে সেগুলো ২০ তলা করছি। নতুন অ্যাপার্টমেন্ট করছি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৬০ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসন সুবিধা দিতে পারবো। এছাড়া, শুধু সচিবদের জন্য তিনটি টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে সুইমিং পুলসহ সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে।’

ঢাকা শহরে ৫০ হাজার বস্তিবাসীকে স্বল্পমূল্যে আবাসন সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহর বস্তিতে ভরা। এটা সমাধান করা সহজ। এরই মধ্যে ৪৫০টি অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের ভাড়াভিত্তিক কাজ শুরু করেছি। আমাদের টার্গেট ১০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট করা। সেখানে ৫০ হাজার পরিবার উঠতে পারবে, এটা সম্ভব। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে সেটা করছি।

সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এনএম