
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, একই মামলায় তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপি’র সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামীর প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় প্রদান করেন।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে রাজধানী ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। কারাগারের অভ্যন্তরে ডে-কেয়ার সেন্টার ভবনে তাঁকে রাখা হয়েছে।
সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (এআইজি প্রিজন) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রাজধানীর পুরনো ঢাকার বকসি বাজার আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রায় ঘোষণার পর বেলা ৩টার দিকে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে কড়া পুলিশ পাহারায় কারাগারে নেওয়া হয়।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স, তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তাঁকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং একটা বড় দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে তাঁর যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা তাঁকে তা দেয়া হবে।
এদিকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারের চারদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও অবস্থান জোরদার করা হয়েছে। বুধবার পুরনো কারাগারের আশপাশে নতুন করে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়।
২০০৮ সালের এতিমদের জন্য সংগৃহীত ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জিয়া অফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে। ২০১৪ সালে ১৯ মার্চ এই মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
সম্পাদনা: আরএ/জেডএইচ/এমএন