আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
ফ্ল্যাট ও প্লটের রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর দাবি রিহ্যাবের

ফ্ল্যাট ও প্লটের রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর দাবি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। একই সঙ্গে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনেরও দাবি জানানো হয়েছে।

চার দিনব্যাপী রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০১৮ এর শেষ দিন রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী এ দাবী জানান।

আবাসন মানুষের মৌলিক চাহিদা উল্লেখ করে আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেন, বাসস্থান নিশ্চিত না করে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছি।

ফ্ল্যাট ও প্লটের রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর দাবি জানিয়ে রিহ্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন খরচ বেশি। ৭ শতাংশে নিয়ে আসলে ব্যবসায় গতি আসবে।

মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের কো-চেয়ারম্যান (১) মোহাম্মদ ওমর ফারুক, কো-চেয়ারম্যান (২) ইঞ্জিনিয়ার দিদারুল হক চৌধুরী, প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক এএসএম আবদুল গাফফার মিয়াজী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সদস্য দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, মো.কামাল উদ্দিন, মো.জাফর, হৃষিকেশ চৌধুরী, মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য মো.রেজাউল করিম, মহিউদ্দিন খসরু, মাহবুব সোবহান জালাল, আবদুল মতিন চৌধুরী, মো.শফিক, ইঞ্জিনিয়ার শেখ নিজামুদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘স্বপ্নীল আবাসন সবুজ দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ’ এ স্লোগানে চট্টগ্রামের সবচেয়ে অভিজাত পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ-তে গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এ মিলনমেলা চলে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চার দিনব্যাপী এই ফেয়ার উদ্ধোধন করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব আবদুচ ছালাম।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, মেলায় এবার ৮৩টি স্টল ছিলো। ফেয়ারে কো-স্পন্সর হিসাবে অংশগ্রহণ করেছিলো ২১টি প্রতিষ্ঠান, সাধারণ স্টল ২১ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ১০টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৭টি। সব মিলিয়ে অংশ নেয় ৫৯টি প্রতিষ্ঠান।

এর আগে চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, কয়েকটি ব্যাংকে সুদের হার কমে আসার কারণে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে হাউজিং লোন দিলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদের হাউজিং লোনের কোন ঘোষণা আসেনি। আমরা চাই, সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটা সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

এছাড়া, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নাগরিকদের আবাসনের স্বপ্ন পূরণ করতে এবং আবাসন খাতে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আমরা ‘হাউজিং লোন’ নামে ২০ হাজার কোটি টাকার রিফিন্যান্সিং করার দাবি জানাই। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য আবাসন খুব সহজেই সম্ভব যদি সরকারের পক্ষ থেকে ৫% সুদে এই তহবিল থেকে ঋণের ব্যবস্থা করা যায়। জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে প্রায় ১৫% ভূমিকা রাখা আবাসন শিল্পে স্থবিরতার জন্য অত্যাধিক রেজিস্ট্রেশন ব্যয় অন্যতম একটা প্রতিবন্ধকতা। বর্তমানে ১৬% এর উপরে রেজিস্ট্রেশন ব্যয় রয়েছে। এটি কমিয়ে ৬-৭ শতাংশে নিয়ে আসলে এ খাতে গতিশীলতা ফিরবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এনএম