আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে পরম মমতায় বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা একথা বলেছেন।

রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ ২৮তম দিনে সমাজ কল্যণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সরকারি দলের নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মকবুল হোসেন, আ. খ. ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, কবিরুল হক, শিবলী সাদিক, আবুল কালাম আজাদ, শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বেগম সেলিনা আক্তার বানু ও ওয়ার্কার্স পার্টির বেগম হাজেরা খাতুন আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের অসহায়, দরিদ্র, বৃদ্ধ, ভবঘুরে, প্রতিবন্ধী ও নি¤œ আয়ের মানুষ আজ সুখী, সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখছেন। তিনিই প্রথমবারের মতো এসব অসহায় মানুষের জন্য ভাতা চালু করেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সুখী, সুন্দর ও আলোকিত বাংলা। এক সময়ে বঞ্চিত জাতি আজ প্রগতির পথে। তিনি বাঙালি জাতিকে আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিধাতার আশীর্বাদ। সাগরের ঢেউয়ের চেয়েও ভয়ঙ্কর প্রতিবেশি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা ¯্রােত দেখেও তিনি ভয় পাননি। বরং তাদের পরম মমতায় মানবিক আশ্রয় দিয়ে খাদ্য, চিকিৎসাসহ সকল ব্যবস্থা করে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের কবর রচনা করে বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি কঠোর হস্তে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দমন করেছেন।

সরকারি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বছরের শুরুতে তাঁর ভাষণে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছেন।

তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে এবং ২০২১ সালের অনেক আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। তাঁর নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।

সংসদ সদস্যরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর থেকে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে এদেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অভিষেক হয়। তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এখনো হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। খালেদা জিয়া কথায় কথায় বলছেন, দেশের পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনসহ সকল বাহিনী তাঁর পাশে রয়েছে। এগুলো তাঁর উস্কানিমূলক বক্তব্য ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি তাঁর ষড়যন্ত্রেরই ধারাবাহিকতা। সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের উস্কানি দেয়ার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা হওয়া উচিত।

তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং গ্রাম পুলিশ সদস্যদের ভাতা বাড়ানোর দাবি জানান। এছাড়া, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দক্ষ নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার, ডিগ্রি ও খেতাব অর্জনের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন সংসদ সদস্যরা।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন সমর্থন করেন। গত ৭ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে এ ভাষণ দেন।

সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এনএম