
এবার বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের ভবন তৈরি করবে জাপানের একটি কোম্পানি। ২০৪১ সালে নিজেদের ৩৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৭০ তলা এ ভবনটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সুমিতোমো ফরেস্ট্রি কোম্পানি। টোকিওতে ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৬০ কোটি ডলার। কোম্পানিটি জানিয়েছে, ডব্লিউ৩৫০ নামের ৭০ তলাবিশিষ্ট ভবনটি তৈরিতে মাত্র ১০ শতাংশ স্টিল ব্যবহার করা হবে। বাকি পুরোটাই হবে কাঠের। ১ লাখ ৮০ হাজার কিউবিক মিটার দেশীয় কাঠের সমন্বয় করে ভবনটি নির্ণয় করা হবে। এই ভবনে আট হাজার ঘর থাকবে। প্রতিটি ঘরে থাকবে গাছ আর বারান্দায় থাকবে পাতাবাহার। ২০৪১ সালের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটি।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপান ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। সারা বছরই ভূমিকম্প হয়। তবে ভূমিকম্পের বিষয়টি মাথায় রেখেই ভবনটি তৈরি হচ্ছে। বাঁকানো টিউব স্ট্রাকচারে এমনভাবে ভবনটি তৈরি করা হবে, যার ফলে জাপানের স্বাভাবিক ভূমিকম্পগুলো মোকাবিলা করতে পারবে এটি।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, টোকিওর ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য ভবনটির কেন্দ্রে ৩৫০ মিটারের কাঠের ও স্টিলের একটি কলাম থাকবে এবং এর সঙ্গে একটি ডায়গনাল স্টিল ভাইব্রেশন-কন্ট্রোল সংযুক্ত থাকবে।
২০৪১ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য নির্মাণ খরচ আরো কমে আসবে বলে আশা করছে কোম্পনিটি।
উল্লেখ্য, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের ভবনটি রয়েছে কানডার ভ্যাঙ্কুভারে। শিক্ষার্থী বসবাসের জন্য নির্মিত ভবনটি ৫৩ মিটার উঁচু। এছাড়াও বিশ্বে অনেক জায়গায়ই কাঠ ব্যবহার করে তৈরি করা আকাশচুম্বি ভবন আছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে কাঠের তৈরি ১৮-তলা একটি অফিস ভবন আছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জাপান একটি আইন করে, এতে নির্মাণ কোম্পানিগুলোর জন্য তিনতলার নিচে সরকারি ভবনগুলো তৈরিতে কাঠ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়।
সম্পাদনা: আরএ/আরবি/এমএন