
রংপুরে হাইটেক পার্কের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় জমিতে ধান চাষ করেছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এ সম্পর্কে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রবিউল ইসলাম বলেন, হাইটেক পার্কের জমি সরকারের। স্থানীয় কৃষক দীর্ঘদিন ধরে এখানে চাষাবাদ করে আসছেন। তবে পার্ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় জমিতে চাষাবাদ করতে নিষেধ করা হয়েছে স্থানীয় কৃষককে।
জানা যায়, তথ্যের প্রসার এবং তথ্যকে জনবান্ধব করতে রংপুরসহ মোট ১২ জেলায় হাইটেক পার্ক নির্মাণের ঘোষণা দেয় বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে কয়েকটি জেলার হাইটেক পার্ক নির্মাণকাজ এবং কিছু কিছু জেলায় নির্মাণকাজ চলছে। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে রংপুর হাইটেক পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি। হাইটেক পার্কের নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। রংপুরে হাইটেক পার্কটি নির্মিত হলে পাঁচ হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, পার্কটি বাস্তবায়নের জন্য গত বছর ডিসেম্বরে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খলিশাকুড়ি মৌজার আরএস নম্বর খতিয়ানভুক্ত ও ৪৭৬ নম্বর দাগে মোট ৮.৫৯ একর জমি অধিগ্রহণ করে রংপুর জেলা প্রশাসন।
সূত্রটি আরও জানায়, গত বছরের ২৫ এপ্রিল ১২টি হাইটেক পার্ক প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে রংপুর হাইটেক পার্কের জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্রমতে, প্রাক্কলিত ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার বরাদ্দ দিয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ভারতীয় দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট অর্থায়ন করবে বাকি ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
নির্মাণকাজ বিলম্ব হওয়ার কারণ সম্পর্কে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রবিউল ইসলাম বলেন, হাইটেক পার্ক নির্মাণের পুরো বিষয়টি সরাসরি তথ্য মন্ত্রণালয় তদারকি করছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন নির্মাণকাজ শুরু হয়নি, এ বিষয়টি একমাত্র তথ্য মন্ত্রণালয় জবাবদিহিতার এখতিয়ার রাখে। পার্কের জন্য টেন্ডার, বাজেট সবকিছু তথ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের কিছু করার নেই।
প্রসঙ্গত, হাইটেক পার্কটি নির্মিত হলে নগরীতে তথ্যের প্রসার ও আইটি বিভাগ আরও প্রসারিত ও জনবান্ধব হবে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটবে। এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পাবে। সাধারণ মানুষ সহজে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে পারবে। বর্তমানে রংপুরে ইন্টারনেটের গতি কম। পার্ক স্থাপিত হলে এ ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। এর সঙ্গে এ অঞ্চলের বেকার সমস্যা দূর করতে এটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
সম্পাদনা: এআরএম/পিকেএম/জেডএইচ