আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
যশোরে স্কুলের মাঠ প্লট করে বরাদ্দ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

যশোর উপশহর ৭ নম্বর সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মরণী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের ১ ও ২ নম্বর প্লটে স্কুলের শিশুদের দৈনিক সমাবেশ ও খেলাধুলাসহ স্থানীয়রা ঈদের নামাজ আদায় করেন। কিন্তু জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ১ নম্বর প্লটটি এক নারীকে বরাদ্দ দেন। এরপর বিদ্যালয়ের সামনের ১ ও ২ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন তৎকালীন বিদ্যালয়ের সভাপতি। এর প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষায় আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।

রোববার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন কর্মসূচী দিয়েছেন এলাকাবাসী। কর্মসূচীর মধ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন ও ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এলাবাসীর প্রচেষ্টায় উপশহর ৭ নম্বর সেক্টরে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৭১ সালে শহীদদের স্মরণে বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় শহীদ স্মরণী বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়ের ১ ও ২ নম্বর প্লটে বিদ্যালয়ের শিশুদের দৈনিক সমাবেশ ও খেলাধুলাসহ স্থানীয়রা ঈদের নামাজ আদায় করেন। কিন্তু জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ১৯৭৮ সালের ৮ এপ্রিল ১ নম্বর প্লটটি হাসিনা বেগম নামে এক নারীকে বরাদ্দ দেন। যার স্মারক নং-৪৫৬/এইচ ই তাং-০৮/০৪/১৯৭৮। এরপর ১৯৮৪ সালে বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ হওয়ার পর বিদ্যালয়ের সামনের ১ ও ২ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়।

ঢাকার জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও যশোর জেলা প্রশাসক অফিসে তৎকালীন বিদ্যালয়ের সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিউদ্দিন এ আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে ১৯৮৯ সালের ৩১ মার্চ জাতীয় গৃহায়নের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী এবং রাজশাহীর গৃহায়নের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও তৎকালীন যশোর জেলা প্রশাসক বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

তাঁরা প্লট মালিককে দুটি প্লটর পরিবর্তে যশোর হাউজিং এস্টেটের অধীনে নতুন প্লট বরাদ্দের আশ্বাস দেন। ওই সময় সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসককে বিদ্যালয়ের পক্ষে প্লট দুটি বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মনিরুজ্জামান ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রবিউল আলমের মধ্যস্থতায় প্লট মালিক ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপোসনামায় স্বাক্ষর করা হয়।

সম্পাদনা: জেডএইচ/আরএ/আরবি