
রাত সাড়ে ৮টা। এফডিসি মোড় ঘাটে অপেক্ষা করছেন এক নারী। যাবেন গুলশান-১ নম্বরে। প্রায় আধা ঘণ্টা হয়ে গেছে। কিন্তু ওয়াটার ট্যাক্সির কোনো খোঁজ নেই। হঠাৎ ওই নারীর বাথরুমে যাওয়া খুব জরুরী হয়ে পড়ে। কিন্তু আশেপাশে কোথাও টয়লেট নেই!
এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত হাতিরঝিলের বাস ও ওয়াটার ট্যাক্সির যাত্রীদের।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ঝুমুর আক্তার নামে এক যাত্রীর সাথে। তিনি বলেন, হাতিরঝিলে কিছু টয়লেট দরকার। না হলে নারীদের অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। অনেক সময় যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এসবের জন্য জরুরী টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন হলে কোথাও যাওয়ার ব্যবস্থা নেই।
একই সমস্যার কথা বলেন আরেক যাত্রী রানা। তিনি বলেন, প্রসাব কোনো এক পাশে করা যায়। কিন্তু টয়লেট পেলে কি করবো?
ওয়াটার ট্যাক্সি অনেক সময় দেরি করে। তখন টয়লেট পেলে কোথায় যাব এমন প্রশ্ন তোলেন অনেক যাত্রী?
নাগরিক প্রশস্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে তৈরি করা প্রাকৃতিক পরিবেশে হাতিরঝিলে দিনে দিনে বাড়ছে মানুষের ভিড়। শুধু ঘুরতে যাওয়া নয়, অফিস কিংবা জরুরী যাতায়াতের জন্য হাতিরঝিল ব্যবহার করছেন অনেকেই। এর অন্যতম কারণ, যানজট না থাকা।
এদিকে হাতিরঝিলের বাস স্টপ ও ওয়াটার ট্যাক্সি টার্মিনালের পাশে কোথাও টয়লেট নেই। বর্তমানে হাতিরঝিলে ৩টি টয়লেট রয়েছে। যা হাতিরঝিলের ভেতরের দিকে রয়েছে এমনটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
হাতিরঝিলে নাগরিক এই সমস্যার জন্য পরিবর্তন ডটকমের সঙ্গে কথা হয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) হাতিরঝিলের প্রকল্প পরিচালক জামাল আখতারের সঙ্গে।
তিনি বলেন, নাগরিকদের এই সমস্যার কথা আমরা বিবেচনায় এনেছি। সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে টয়লেটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরাও ভাবছি কোথায় কোথায় টয়লেট বসানো যায়। তবে ইচ্ছে করেলেই তো টয়লেট বসানো যায় না। জায়গা দরকার, টয়লেটের লাইন বের করার জন্য ব্যবস্থা দরকার। এসব দিক ঠিক হয়ে গেলে বিভিন্ন স্টপিজে টয়লেট বসানো হবে।
খুব বেশি সময় লাগবে না টয়লেট বসানোর জন্য এমনটা জানান তিনি।