আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
জেনে রাখুন অনলাইনে জমির খতিয়ান/পর্চা পাওয়ার নিয়মাবলী

দেশের যেকোন নাগরিক যেকোন জায়গা থেকে ব্যক্তিগত কিংবা ক্রয় করতে ইচ্ছুক যে কোন জমির বিভিন্ন রেকর্ড এখন খুব সহজেই অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন। এসএ (SA), সিএস (CS), বিআরএস (BRS) নকল / পর্চা/ খতিয়ান/ সার্টিফাইড কপি অনলাইনে আবেদন করে সংগ্রহ করা যাবে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলার প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুম থেকে। জমির খতিয়াল তিনভাবে তোলা যাবে। যেমনঃ

১। জেলা ই-সেবাকেন্দ্রঃ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা ই-সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে ওয়ানস্টপ সার্ভিস গ্রহন করা যায়।

২। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রঃ দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থিত ইউনিয়ন পরিষদ সেবা কেন্দ্র (ইউআইএসসি) থেকে নাগরিকগন আবেদন করতে পারবেন।সেক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত কোর্ট ফি ছাড়াও জেলা প্রশাসন নির্ধারিত প্রসেসিং ফি দিতে হবে।

৩। জেলা ওয়েব পোর্টালঃ জেলা ওয়েব পোর্টালে নির্ধারিত আবেদন ফরম ফিলআপ করে ব্যক্তি নিজেই জমির খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারে। জেলা ওয়েব পোর্টাল পাবার জন্য আপনাকে www.districtname.gov.bd ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে জমির খতিয়ানের জন্য আবেদন বাটনে ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট ফর্মটি পাওয়া যাবে।

জমির খতিয়ানের জন্য আবেদন করা যায় দু’ভাবেঃ

ক) জরুরি ডেলিভারীঃ সময় লাগে সাধারনত ০৩ কার্যদিবস |

খ) সাধারন ডেলিভারীঃ সময় লাগে লাগে ৭-১০দিন।

*খতিয়ান(পর্চা)টি ডাকযোগে পেতে নির্ধারিত কলাম পূরণ করতে হবে।

আবেদনের সাথে নির্ধারিত কোর্ট ফি জেলা প্রশাসকের সংশ্লিষ্ট ই-সেবাকেন্দ্র থেকে ক্রয় করে আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করে জেলা সেবা কেন্দ্রে জমা দেওয়া যাবে। এছাড়াও আবেদনের সাথে কোর্ট ফি সংযুক্ত করে ডাকযোগে জেলা ই-সেবাকেন্দ্রে জমা দেওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট খরচঃ

খতিয়ান উত্তোলন ফিঃ জরুরিঃ কোর্ট ফি-২০ টাকা, ডেলিভারী ফি-২ টাকা।

সাধারণ কোর্ট ফি- ১০ টাকা, ডেলিভারী ফি- ২ টাকা।

সূত্র: ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়

অনলাইনে জমির খতিয়ান বা ই-পর্চা তোলার প্রক্রিয়া। 

দেশের যে কোন নাগরিক যে কোন জায়গা হতে তার অথবা ক্রয় করতে ইচ্ছুক জায়গা জমির বিভিন্ন রেকর্ড যেমন এসএ (SA), সিএস (CS), বিআরএস (BRS) নকল / পর্চা/ খতিয়ান/ সার্টিফাইড কপি এখন খুব সহজে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুম থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এর ফলে একদিকে জনগণ যেমন কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুত সেবা পাচ্ছেন, অন্য দিকে সরবরাহকৃত রেকর্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিজিটাইজ হয়ে যাচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও এটুআই প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যেগে ৬৪ জেলার রেকর্ড রুমের সকল এস এ (SA), সিএস (CS), বিআরএস(BRS) ও খতিয়ান কপি ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৪.৫ কোটি খতিয়ান রেকর্ড ডিজিটাইজ হবে। বর্তমানে প্রায় ২৩ লক্ষ ২০ হাজার রেকর্ড অনলাইনে প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার রেকর্ড ইউআইএসসি থেকে প্রদান করা হয়েছে।

জমির খতিয়ানের জন্য দুইভাবে আবেদন করা যায়

সাধারণ ডেলিভারী ও জরুরী ডেলিভারীঃ

জরুরী ডেলিভারীর জন্য সাধারণত তিন কার্যদিবস এবং সাধারণ আবেদনের জন্য সাধারণত সাত থেকে ১০ কার্যদিবস লাগে।

খতিয়ান (পর্চা) আপনি ডাকযোগে পেতে নির্ধারিত কলাম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনের সাথে নির্ধারিত কোর্টফি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট জেলা ই-সেবা কেন্দ্র থেকে ক্রয় করে আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে জেলা সেবা কেন্দ্রে জমা দেয়া যাবে। এছাড়া আবেদনের সাথে নির্ধারিত কোর্টফি সংযুক্ত করে ডাকযোগে জেলা ই-সেবা কেন্দ্রে জমা দিতে পারেন। এছাড়া স্ট্যাম্প ভেন্ডর অথবা অনুমোদিত ইউআইএসসি থেকেও কোর্ট ফি ক্রয় করা যাবে। আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা এসএমএস এর মাধ্যমে জানার জন্য আপনার বর্তমান মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। খতিয়ান উত্তোলনের সাধারণ কোর্টফি ১০ টাকা ডেলিভারী ফি ২ টাকা, আর জরুরী কোর্ট ফি ২০ টাকা ডেলিভারী ফি ২ টাকা।

জমির খতিয়ান তোলার প্রক্রিয়াঃ

ক) জেলা ই-সেবা কেন্দ্রঃ জেলা প্রশাসকের জেলা ই-সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ওয়ানস্টপ সার্ভিস গ্রহণ করা যায়।

খ) ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রঃ দেশের বিভিন্ন ইউনিয়েনর পরিষদে অবস্থিত ইউআইএসসি থেকে নাগরিকগণ আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ইউআইএসসি উদ্যেক্তাগণ সরকার নির্ধারিত কোর্ট ফি ছাড়াও জেলা প্রশাসন হতে নির্ধারিত হারে প্রসেসিং ফি নিবেন।

গ) জেলা ওয়েব পোর্টালঃ জেলা তথ্য বাতায়নের সংশ্লিষ্ট জেলার ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তি নিজেই নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে পারবেন। জেলা ওয়েব পোর্টাল পাওয়া জন্য http://www.bangladesh.gov.bd/ ঠিকানায় গিয়ে জেলা বাতায়নে যেতে হবে।

এরপর নিজ নিজ জেলার পোর্টালে গেলে ডান দিকের নিচে নকলের জন্য আবেদন ক্লিক করতে হবে। 

এর পর একটি ফরম আসবে সেটি সঠিকভাবে ফিলাপ করে দালিখ বাটনে ক্লিক করার পরপ্রাপ্ত রশিদ প্রিন্ট করে কোর্ট ফি লাগিয়ে জেলা সেবা কেন্দ্র পৌঁছে দিন। ফরমটি প্রিন্ট করতে না পারলে যে কোন সাদা কাগজে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি যুক্ত করে জেলা সেবা কেন্দ্রে পৌছে দিন

জেলা ই-সেবা কেন্দ্র

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়

…………………….. (নিজ জেলার নাম)

খতিয়ান (পর্চা/নকল) এর আবেদনর পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট রেকর্ড রুমের কর্মকর্তাদের কয়েকটি ধাপে নির্ধারিত কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। আবেদন করার পর সংশ্লিষ্ট অফিস সহকারী (প্রাথমিক বাছাইকারী) আবেদন যাচাই বাছাই করেন এবং মৌজা/ উপজেলা ভিত্তিক সটিং করে থাকেন। সটিং করার পর সংশ্লিষ্ট সহকারী/ষ্টাফ মৌজার বই সংগ্রহ করেন। অতঃপর মৌজার বই থেকে আবেদনকৃত খতিয়ানের মূল তথ্য এন্ট্রিকারক কর্তৃক এন্ট্রি করা হয়ে থাকে। এরপর যাচাইকারী ষ্টাফ কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে তুলনাকারীর নিকট প্রেরণ করা হয়। তুলনাকারী সংশ্লিষ্ট রেকর্ডটি তুলনা করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সহকারী কমিশনার (রেকর্ড রুম) এর নিকট প্রেরণ করেন। সহকারী কমিশনার (রেকর্ড রুম)এর চূড়ান্ত অনুমোদনের পরই আবেদনকারীকে খতিয়ান প্রদান করা হয়ে থাকে।

আশার কথা হচ্ছে দ্রুত এবং সহজে সেআ প্রদানের লক্ষে বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলায় একটি পাইল প্রবল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যার মাধ্যমে আবেদনকারীকে কোর্ট ফি প্রদান করার জন্য কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। অনলাইনের মাধ্যমে কোর্ট ফি পরিশোধ করা যাবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র, জেলা ই-সেবা কেন্দ্র, জেলা প্রশাসকের নির্ধারিত কাউন্টার থেকে আবদেনর পাশাপাশি ব্যক্তি নিজেও নির্ধারিত জেলার ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

নিম্নে বিভাগ অনুসারে বিভিন্ন জেলার ওয়েব পোর্টালের ঠিকানা দেওয়া হলোঃ

জেলা বাতায়নঃ

বরিশাল বিভাগ – www.barisaldiv.gov.bd
১. বরগুনা www.barguna.gov.bd
২. বরিশাল www.barisal.gov.bd
৩. ভোলা www.bhola.gov.bd
৪. ঝালকাঠী www.jhalakathi.gov.bd
৫. পটুয়াখালী www.patuakhali.gov.bd
৬. পিরোজপুর www.pirojpur.gov.bd
চট্রগ্রাম বিভাগ – www.chittagongdiv.gov.bd
১. বান্দরবান www.bandarban.gov.bd
২. ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া www.brahmanbaria.gov.bd
৩. চাঁদপুর www.chandpur.gov.bd
৪. চট্রগ্রাম www.chittagong.gov.bd
৫. কুমিল্লা www.comilla.gov.bd
৬. কক্সবাজার www.coxsbazar.gov.bd
৭. ফেনী www.feni.gov.bd
৮. খাগড়াছড়ি www.khagrachhari.gov.bd
৯. লক্ষ্মীপুর www.lakshmipur.gov.bd
১০. নোয়াখালী www.noakhali.gov.bd
১১. রাঙ্গামাটি www.rangamati.gov.bd
ঢাকা বিভাগ – www.dhakadiv.gov.bd
১. ঢাকা www.dhaka.gov.bd
২. ফরিদপুর www.faridpur.gov.bd
৩. গাজীপুর www.gazipur.gov.bd
৪. গোপালগঞ্জ www.gopalganj.gov.bd
৫. কিশোরগঞ্জ www.kishoreganj.gov.bd
৬. মাদারীপুর www.madaripur.gov.bd
৭. মানিকগঞ্জ www.manikganj.gov.bd
৮. মুন্সীগঞ্জ www.munshiganj.gov.bd
৯. নারায়নগঞ্জ www.narayanganj.gov.bd
১০. নরসিংদী www.narsingdi.gov.bd
১১. রাজবাড়ী www.rajbari.gov.bd
১২. শরিয়তপুর www.shariatpur.gov.bd
১৩. টাঙ্গাইল www.tangail.gov.bd
খুলনা বিভাগ – www.khulnadiv.gov.bd
১. বাগেরহাট www.bagerhat.gov.bd
২. চুয়াডাঙ্গা www.chuadanga.gov.bd
৩. যশোর www.jessore.gov.bd
৪. ঝিনাইদহ www.jhenaidah.gov.bd
৫. খুলনা www.khulna.gov.bd
৬. কুষ্টিয়া www.kushtia.gov.bd
৭. মাগুরা www.magura.gov.bd
৮. মেহেরপুর www.meherpur.gov.bd
৯. নড়াইল www.narail.gov.bd
১০. সাতক্ষীরা www.satkhira.gov.bd
 রাজশাহী বিভাগ – www.rajshahidiv.gov.bd
১. বগুড়া www.bogra.gov.bd
২. চাঁপাই নবাবগঞ্জ www.chapainawabganj.gov.bd
৩. জয়পুরহাট www.joypurhat.gov.bd
৪. পাবনা www.pabna.gov.bd
৫. নওগাঁ www.naogaon.gov.bd
৬. নাটোর www.natore.gov.bd
৭. রাজশাহী www.rajshahi.gov.bd
৮. সিরাজগঞ্জ www.sirajganj.gov.bd
 রংপুর বিভাগ – www.rangpurdiv.gov.bd
১. দিনাজপুর www.dinajpur.gov.bd
২. গাইবান্ধা www.gaibandha.gov.bd
৩. কুড়িগ্রাম www.kurigram.gov.bd
৪. লালমনিরহাট www.lalmonirhat.gov.bd
৫. নীলফামারী www.nilphamari.gov.bd
৬. পঞ্চগড় www.panchagarh.gov.bd
৭. রংপুর www.rangpur.gov.bd
৮. ঠাকুরগাঁও www.thakurgaon.gov.bd
 সিলেট বিভাগ – www.sylhetdiv.gov.bd
১. হবিগঞ্জ www.habiganj.gov.bd
২. মৌলভীবাজার www.moulvibazar.gov.bd
৩. সুনামগঞ্জ www.sunamganj.gov.bd
৪. সিলেট www.sylhet.gov.bd
 ময়মনসিংহ বিভাগ – www.mymensinghdiv.gov.bd
১. ময়মনসিংহ www.mymensingh.gov.bd
২. শেরপুর www.sherpur.gov.bd
৩. জামালপুর www.jamalpur.gov.bd
৪. নেত্রকোণা www.netrokona.gov.bd