লন্ডনভিত্তিক ইকোনোমিস্ট গ্রুপের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিটের ওয়ার্ল্ডওয়াইড কস্ট অব লিভিং ইনডেক্স ২০১৮ অনুযায়ী দিল্লি-করাচিসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক শহরের চেয়েও ব্যয়বহুল ঢাকা। অবশ্য গত ১২ মাসে বাংলাদেশে জীবনযাত্রার ব্যয় কমেছে বলেও উঠে এসেছে সূচকে।
কিন্তু ঢাকার জীবনযাত্রার ব্যয় কেন এত বেশি? বিবিসি বাংলাকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করছেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, এর পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ।
তার হিসেবে- প্রথমত, বাংলাদেশের আয় বেড়েছে। কিন্তু তার বিপরীতে বিভিন্ন ধরনের সেবা বা পণ্যের সরবরাহ বাড়েনি। সম্পদের বৈষম্য আয়ের বৈষম্যকেও ছাড়িয়ে গেছে।
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলছেন, ‘বাংলাদেশীদের মধ্যে উচ্চবিত্তদের হাতে এখন অনেক বেশি অর্থ, কিন্তু তারা যা চান.. যেমন বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা..ইত্যাদি যথেষ্ট নেই।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মতে, দ্বিতীয় প্রধান কারণটি হলো, টাকার মূল্যমানের স্থিতিশীলতা। ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান এতদিন ৭৯-৮২ টাকার মধ্যে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এটি বাড়ছে।
রেমিটেন্স ও রফতানি আয় কমার বিষয়টিকেও সামনে আনছেন তিনি। তিনি বলছেন, বাংলাদেশে যেসব পণ্যের মধ্য দিয়ে মজুরি নির্ধারিত হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পণ্য হচ্ছে চাল এবং তেল। বাংলাদেশে চালের দাম আন্তর্জাতিক বাজার, এমনকি ভারতের বাজারের দামের চেয়েও বেশি। এটা জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে অনেকখানি।
এ ছাড়া তেলের মূল্য বৃদ্ধিও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির আরেকটা কারণ বলে তিনি মনে করেন।