
এই শহরের জন্য অন্তত ২৫ শতাংশ সড়ক থাকার প্রয়োজন হলেও রয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। এতে চলাচল করে প্রায় ১২ লাখ যানবাহন। এর মধ্যে রাস্তা দখল, অবৈধ পার্কিং ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনা তো রয়েছেই। অনেক শহর ১০০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে গড়ে তোলায় হয়, কিন্তু ঢাকা মূলত অপরিকল্পিত শহর। যদিও বর্তমানে কিছু পরিকল্পনা নিয়ে যানজট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে, তাও যথেষ্ট নয়। যানজট নিরসনে রাজধানীকে ঘিরে বৃত্তাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা তিন দশক ধরে পরিকল্পনাতেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
তিন লাখ জনসংখ্যার হিসেবে ঢাকার প্রথম মস্টার প্ল্যান করা হয় ১৯৫৯ সালে। সবশেষ ১৯৯৭ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট প্ল্যান করে রাজউক। কিন্তু সেখানে বিশাল এই জনগোষ্ঠির জন্য যোগাযোগের উপযুক্ত কোন দিক নির্দেশনা ছিলো না। যার ফলে ২৫ শতাংশ সড়কের প্রয়োজনীয় এই শহরে সড়ক রয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। রাস্তার স্বল্পতা, ব্যক্তিগত গাড়ির দৌরাত্য, সমন্বয়হীন রুট পারমিট প্রদান, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলাচল ও অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে প্রতিনিয়তই যানজট বেড়েই চলেছে নগরে।
ঢাকার ৭ শতাংশ সড়কের মধ্যে মাত্র ২ থেকে আড়াই শতাংশ মূল সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি সড়ক হচ্ছে, কুড়িল থেকে প্রগতি সরণি হয়ে রামপুরা ও যাত্রাবাড়ী; আবদুল্লাহপুর থেকে মহাখালী,ফার্মগেট হয়ে প্রেসক্লাব; গাবতলী থেকে আজিমপুর; মহাখালী থেকে মগবাজার হয়ে গুলিস্তান এবং পল্লবী থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সড়ক।
বিআরটিএ’র হিসেবে স্বল্প সড়কের এই শহরে প্রায় ১২ লাখের মত যানবহন চলাচল করছে। এর সাথে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিনশ’ গাড়ি। এর প্রায় ৮০ শতাংশই ব্যক্তিগত। যা যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাফিক জ্যাম বাড়লেও, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়েনি। সেকেলে রয়ে গেছে। সিগন্যাল বাতি জললেও হাতের ইশারায় কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ। তবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নে নানামুখি পদক্ষেপের কথা জানালেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
২০৩৫ সালে আড়াই কোটির বেশি জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে এখন ২০বছর মেয়াদি নতুন মহাপরিকল্পনা করেছে রাজউক। এতে যানজট নিরসনে রাজধানীকে ঘিরে বৃত্তাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকল্পনা রয়েছে।