আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
পূর্বাচলে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মধ্যেই নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম

রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের মহাপরিকল্পনায় জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৭ দশমিক ৫০ একর জমি। এই জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে। যদিও এটি নির্মান করতে চাইছিল রাজউক। ক্রীড়া পরিষদ ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মানের কাজে অনেকটা এগিয়েও যায়।

তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে এই জমিতে পাঁচ তারকা হোটেলবিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক ক্রিকেট কমপ্লেক্স গড়ে তোলার আগ্রহ দেখায়। ফলে, স্টেডিয়ামটি নির্মাণ কাজ করবে কারা অথবা এটির মালিকানা কার হবে এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ক্রীড়া পরিষদও নির্মাণ পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখে। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল নিজ কার্যালয়ে বৈঠক ডাকেন অর্থমন্ত্রী।

তারপর বৈঠকে অর্থমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরে বালু নদের তীরে নির্ধারিত জায়গায় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের দায়িত্ব বিসিবিই নেবে। তবে সেটি হবে জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স মহাপরিকল্পনার অংশ। মহাপরিকল্পনা তৈরি করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। মোট জমি থেকে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য ২০ একর জমি বরাদ্দ হতে পারে। বাকি জমিতে অন্য স্টেডিয়াম ও প্রয়োজনীয় ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

এই প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার ‘’ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এই ক্রীড়া কমপ্লেক্স । ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের ব্যাপারে দ্রুতই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার দায়িত্ব নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ক্রিকেট স্টেডিয়াম বিসিবিই করুক। কমপ্লেক্সের অন্য কাজ করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মধ্যে কোনো হোটেল হবে না। কারণ পূর্বাচলে একটি পাঁচ তারকা হোটেলের জন্য আলাদা জায়গা নির্দিষ্ট আছে। সেখানেই নির্মিত হবে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন এই পাঁচ তারকা হোটেল।  প্রথম আলো