আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
আগুন নেভানোর ‘বোমা’ ১৫০০ টাকায়

দেখতে অনেকটা বলের মতো। সাইজটা টেনিস বল আর ফুটবলের মাঝামাঝি। ওজন এক কেজি তিনশ’ গ্রাম। অদ্ভুত এই বলটিকে ‘ফায়ার ইনস্টিংগুয়েসার বল’ বলা হয়। কোথাও আগুন লাগলে এই বলটি ছুড়ে মারা হলে তিন সেকেন্ডের মধ্যে বিকট শব্দে ফুটবে এটি। তাই একে অনেকে আগুন নেভানোর ‘বোমা’ বলে থাকেন। এটি বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে নিমিষেই নিভে যাবে আগুন। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে জনপ্রিয়তা লাভ করা এই ‘ফায়ার ফায়ার ইনস্টিংগুয়েসার বল’ ব্যবহার করছে বাংলাদেশের অনেকে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-২০১৮’। সেখানে ৪০১ নম্বর বাংলা ট্র্যাকের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বলটি। ৫ বছর মেয়াদি প্রতিটি বলের দাম আড়াই হাজার টাকা হলেও মেলা উপলক্ষে এক হাজার টাকা ছাড়ে ১৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলটি।
বাংলা ট্র্যাকের এনার্জি অ্যান্ড ফায়ার সেফটি সলিউশনস বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার মো. জামিউল আক্তার বলেন, একটি ফায়ার ইনস্টিংগুয়েসারের সিলিন্ডারের ওজন পাঁচ থেকে আট কেজি। অনেক সময় ওজনের কারণে এটি ব্যবহার দুরূহ হয়ে পারে। কিন্তু বলটি তুলনামূলক হালকা। এর ভেতরে ফায়ার ইনস্টিংগুয়েসারের ডিসিপি পাওডার আছে। এতে আগুনের তাপ লাগলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেটে যাবে। এর ভেতরে থাকা পাওডার ১০০ ফিট দূরত্ব পর্যন্ত ছিটে গিয়ে আগুন নেভাবে। এছাড়া কোথাও আগুন লাগলে যদি ছুড়ে মারা হয় তখনই এটি ১০২ ডেসিবেল শব্দে বিস্ফোরিত হবে।
বাংলাদেশে এই ফায়ার ইনস্টিংগুয়েসার বলের চাহিদা জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার মো. জামিউল আক্তার বলেন, আমরা এটার অনেক অর্ডার পাচ্ছি। প্রথম দিকে গার্মেন্টস ও অন্যান্য ফ্যাক্টরির অর্ডার পেলেও বর্তমানে বাড়ি, অফিস, হোটেল আর রেস্টুরেন্টের অর্ডার পাচ্ছি। অনেকে বাড়ির রান্নাঘরের জন্য নিয়ে এটিকে ঝুলিয়ে রাখছেন। এটি আগুন নেভানোর পাশাপাশি এর বিস্ফোরণের শব্দ ফায়ার অ্যালার্ম হিসেবে সতর্ক করে দেয়।
তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে ৩০টি দেশের ৬০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রদর্শনীতে বিনামূল্যে প্রবেশ করা যাবে এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।