
যানজটের শহর রাজধানী ঢাকা। যেখানে, প্রধান সড়ক ছাপিয়ে চাপ বাড়ছে সরু অলি গলিতেও। সেই সাথে খোঁড়াখুড়ি এবং দখলের কারণে যানজটের যন্ত্রণা বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে, স্থবিরতা নেমেছে নগরীর কর্মঘন্টায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধ দখলমুক্ত করার পাশাপাশি সরু রাস্তাগুলোতে একমুখী যানচলাচল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে সমাধান সম্ভব। যদিও, স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে রাস্তা অবৈধ দখল মুক্ত করার সম্ভব হয়নি জানিয়ে রাজউক বলছে সমস্যা সমাধানে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজধানীর নিয়মিত ছবি এটি। সকাল দুপুর সন্ধ্যা কিংবা রাত। যানজটের স্থবিরতার এ চিত্র বদলায় না মোটেও।
সময় যত বাড়ছে, যানের জট ছড়িয়ে পড়ছে প্রধান সড়ক ছাপিয়ে সরু অলি গলিতেও। একেতো, সরু রাস্তা, তার ওপর চলে খোঁড়াখুড়ি এমনকি ব্যবসায়িক কার্যক্রমও। ফলে, কর্মস্থলে যেতে এবং ঘরে ফিরতে ভোগান্তিই নিত্যসঙ্গী নগরবাসীর।
ভুক্তভোগীরা বলেন, রাস্তাগুলো অনেক সরু, জাস্ট টাইমে অফিস করার জন্য ছুটি, কিন্তু কোন লাভ হয় না।
রাজধানীর পুরানঢাকার সরু রাস্তার দু’পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় সারাক্ষণ চলে মালামাল ওঠা-নামার কার্যক্রম। পাশাপাশি দুটি রিকশা পার হওয়াটায় যেখানে কষ্টসাধ্য। পথচারি পারপার সেখানে চরমঝূঁকির বিষয়।
সংকট সমাধানে মেয়রের ক্ষমতা বাড়ানো, সরু রাস্তাকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে একমুখী যান চলাচল ব্যবস্থাচালুসহ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞগণ।
নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বের হোসেন বলেন, একমুখী যান চলাচল শুরু হলে তাহলে যানবহনের চাপ অর্ধেক হয়ে যায়।
এদিকে, স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে অতীতে নেয়া কার্যক্রম সফল হয় নি দাবী করে রাজউক বলছে সমস্যা সমাধানে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট সাবমিট করা যাবে।
সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে রাত, কর্মব্যাস্ততা শুরু যে জ্যাম পেরিয়ে সেই ভোগান্তি শেষ হয় না মাঝরাতেও। অফিস ফেরত মানুষের অপেক্ষাও পৌঁছায় চরম বিরক্তিতে। ভোগান্তিও তখন সীমা ছাড়ায়। তাই যানজটহীন নগরীর প্রত্যাশা তাদের মুখে। সময়টিভি