
উত্তরা ১৩নং সেক্টর একটি জনবহুল আবাসিক এলাকা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিবেষ্টিত এ সেক্টরটির কেন্দ্রস্থলে একটি বড় খেলার মাঠ এবং মহিলা পার্ক রয়েছে। মাঠটি রাজউক বর্তমানে বাণিজ্যিক প্লট হিসেবে নিলামে বিক্রির কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। খালি জায়গাটিকে বাণিজ্যিক প্লটে রূপান্তর না করে শিশুদের বিনোদনের সুবিধার্থে এখানে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ এবং একটি ক্ষুদ্র অংশে ডিপটিউবওয়েল স্থাপনের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হোক। আর এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান পরিবেশবাদীরা।
গতকাল শুক্রবার উত্তরা ১৩নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) উদ্যোগে সমিতির অফিস প্রাঙ্গণে ‘মহিলা পার্ক ও খেলার মাঠের মাঝখানের উন্মুক্ত জায়গাটি শিশুপার্কের জন্য বরাদ্দের দাবিতে’ মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশে বক্তারা এ আহ্বান জানান।
১৩নং সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি হারুন-অর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাপার সহ-সভাপতি বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপার যুগ্ম-সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, এটিএন বাংলার উপদেষ্টা জি এম মো. শামসুল হুদা, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক
শরীফুজ্জামান শরীফ, বাপার যুগ্ম-সম্পাদক ও গ্রীন ভয়েসের সহ-সমন্বয়ক হুমায়ন কবির সুমন, ১৩নং সেক্টর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ পান্না, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির ভূঁইয়া এবং ১৩নং সেক্টরের বাসিন্দা মো. লুৎফর রহমান তালুকদার, সেলিম রেজা মাহমুদ, সাইদুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মহিলা পার্ক সংলগ্ন দক্ষিণাংশের ২৬০ ফুট পরিমাণ জায়গা উম্মুক্ত। ২০১১ সালে জায়গাটিকে কয়েকটি প্লটে বিভক্ত করে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু জায়গাটি পার্কেরই অংশ বিশেষ বিধায় পার্কটিকে সম্প্রসারণ করে শিশুদের জন্য সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সেক্টরবাসী একমত। ফলে রাজউক ওই বরাদ্দ বাতিল করে দেয়। কিন্তু ২০১৭ সালে জায়গাটিকে আবার বাণিজ্যিক প্লটে রূপান্তর করে। সে ক্ষেত্রেও কল্যাণ সমিতি সেক্টরের মধ্যে বাণিজ্যিক প্লট বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।