আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
শান্তিনগরে ২২তলা ভবন ঝুঁকিতে

রাজধানীর শান্তিনগরে কবি গোলাম মোস্তফা ভিউ’র সীমানা প্রাচীর জোরপূর্বক ভেঙ্গে ফেলার ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত বুধবার স্থায়ীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে প্রায় ২ শতাধিক লোকজন ২২ তরা ভবনের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়ায় ৫৪টি পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর মোস্তবা জামান বলেন, তাদেরকে রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য কিছু জায়গা ছাড়ার জন্য বলেছিলো এলাকাবাসী। গত কয়েকবছর ধরইে এ নিয়ে ঘুরাচ্ছে। স্থানীয় এমপি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা হয়েছে। রাজউকের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিস্ট এলাকার অথরাইজড অফিসারের নির্দেশেই মূলত সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা হয়েছে।

কবি গোলাম মোস্তফার এক স্বজন জানান, ১৫ কাঠা জায়গার উপর কবি গোলাম মোস্তফার বাড়িটি ছিলো। এটি বহুতল ভবন করতে বেসরকারী জমি উন্নয়ন সংস্থা স্কাই ভিউ ফাউন্ডেশনের সাথে তাদের চুক্তি হয়। ২২ তলা ভবনে ৫৪টি ইউনিটে কবি গোলাম মোস্তফার পরিবারের সদস্যরাসহ বিভিন্ন পরিবারের বসবাস। বাকী ইউনিটগুলোতে স্কাইভিউ ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। কোন নোটিশ ছাড়াই গত বুধবার স্কাইভিউতে সমাবেশ করার নামে স্থানীয় কাউন্সিলরের লোকজন এসে সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা শুরু করে। যা গতকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো।

স্কাইভিউ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. নুরুজ্জোহা সাংবাদিকদের জানান, নির্মান প্রতিষ্ঠান স্কাইভিউ লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত ২২ তলা ভবনটি রাউজউকের নকশা মোতাবেক শুরু হয় ২০০৬ সালে। নির্মানকাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। গত বছর ভবনের পিছনের রাস্তা বড় করতে এলাকার কতিপয় ব্যক্তিরা এসে ভবনের পেছনের দেয়াল ভাঙ্গার কথা বলে। তখন তাদেরকে জানানো হয় রাউজকের অনুমোতিতে ভবনের পেছনের দেয়াল ভাঙ্গা সম্ভব। পরে তারা রাজউকের কাছে গেলেও রাজউক সীমানপ্রাচীর ভাঙ্গার অনুমুতি দেয়নি। এ নিয়ে রাউজক অথরাইজড অফিসারও সার্ভে করেছে। দুপাশ থেকে জায়গা ছেড়ে রাস্তা বড় করার জন্য তারা রাজী হলেও এলাকার কিছু ব্যক্তি কেবল কবি মোস্তফা কামাল ভিউ’র সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে রাস্তার জায়গা নিতে চাচ্ছে। গত ৬ মে স্থানীয় কাউন্সিলর মোস্তবা জামান তার প্যাডে আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানান, সমাজকল্যান মন্ত্রী এলাকায় একটি মিটিং করবেন। এ জন্য কবি মোস্তফা কামাল ভিউতে আয়োজন করতে হবে। এ বিষয়ে স্কাইভিউ থেকে একটি পাল্টা চিঠি দিয়ে সম্মতি জানানো হয়। কিন্তু তা না করে কাউন্সিলর উপস্থিত থেকে ২ শতাধিক ব্যক্তি দিয়ে আকস্মিক ভবনের সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা শুরু করেন। এর আগেই পল্টন থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের কথা উল্লেখ করে একটি জিডি করা হয় (নং ৫৩১ তারিখ ৯.০৫.১৮)। কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে তদন্তে আসেনি। যে সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা হয়েছে সেখান দিয়ে পুরো ভবনের ড্রেনেজ, গ্যাস এবং জরুরী বর্হিগমন পথের নকশা। সীমানাপ্রাচীর ভাঙ্গার ফলে এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভবনের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে।