আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
খুলনায় হেলে পড়েছে পাঁচতলা ভবন

খুলনা মহানগরীর ১৬ নম্বর আহসান আহমেদ রোডের পুরনো পাঁচতলা ভবন হেলে পড়েছে। কিন্তু লাগোয়া পাশের ভবনে ঠেকে যাওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিস এখানকার একাধিক কোচিং সেন্টার ও বিভিন্ন অফিসের লোকজনকে নামিয়ে দিয়ে ফাঁকা করে ভবনটির নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভবন সংলগ্ন সৈয়দ মোস্তাগাউসুল হক সড়কটি।

রোববার রাত ৯টায় কেসিসি কর্তৃপক্ষ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। এর আগে বিকেলে খুলনা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন ভবনটির উত্তর পাশের একটি বড় অংশ ধসে সড়কে পড়ে। তবে, ওই সময় সড়কে লোকজন বা যানবাহন না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা সদর দফতরের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর খোন্দকার আশরাফুর রহমান জানান, ভবনে ধস এবং হেলে পড়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভবনটি ঘেরাও করে লোকজন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে মাইকিং করে ভবনে থাকা একাধিক কোচিং সেন্টার, প্যাথলজিসহ বিভিন্ন অফিসের লোকজনকে নামিয়ে দিয়ে ভবনটি ফাঁকা করা হয়েছে।

এছাড়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কেসিসির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় দফতরের সহকারী পরিচালক ইকবাল বাহার বুলবুলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম ভবনটি পরিদর্শন করেছেন। অন্য দু’জন হলেন সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম ও উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন। সকল দফতর থেকেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে দ্রুত অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ভবনটি ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়। ভবনের পেছনের দিকে উত্তর পাশের একটি বড় অংশ উপর থেকে ধসে সড়কে স্তূপাকারে পড়ে আছে। সড়কের দুই দিকে বাঁশ বেঁধে পথচারী ও যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, খুলনা মহানগরী এলাকার অতি পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গঠিত উপ-কমিটির আহবায়ক ও কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি নোটিশও রাতেই ভবনটিতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নোটিশে ভবনের মালিক আব্দুল জব্বার ও জাহিদ জব্বারকে দ্রুত ভবনটি অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভবনটি অপসারণে কোনো ধরনের অবহেলা করা হলে বা জানমালের ক্ষতি হলে তার দায়ও মালিককে বহন করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবর্তন