আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
কম সুদে ঋণের তহবিল গঠনের দাবি রিহ্যাবের

আসন্ন বাজেটে ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ফি কমানোর পাশাপাশি আবাসন খাতের জন্য সহজ শর্তে কম সুদের ঋণের তহবিল গঠনের দাবি করেছে রিহ্যাব । সেইসাথে এবারের বাজেটে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ে কর ছাড়েরও দাবি রয়েছে । অর্থনীতিবিদরা নির্মাণ উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সরকারকে আবাসন ব্যবসায় বিনিয়োগ বাড়াতে নীতি সহায়তার পরামর্শ দিয়েছেন।

কয়েকবছর ধরে চলা মন্দা কাটিয়ে আবাসন ব্যবসায়ীদের জন্য গত বছরের শেষদিকে কিছুটা স্বস্তির আভাস মিলেছিল। কিন্তু রড, সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম দফায় দফায় বেড়ে যাওয়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই হোঁচট খায় আবাসন খাত। নির্মাণ ব্যয়ের ভারে ফ্ল্যাটের দামে বাড়তি ২০ শতাংশ যোগ হওয়ায় এখাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাই শেষ ভরসা হিসেবে সরকারের সহায়তা চেয়ে, আসছে বাজেটে, বৈধভাবে প্রাপ্ত অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ, উৎসে কর প্রত্যাহার, ট্যাক্স হলিডেসহ ১২ টি দাবি রয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের।

রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ‘র উপাদানের ওপর যেনো কোনো নতুন কর আরোপ না করা হয়। রেজিষ্ট্রেশন ব্যয় ৩-৪০ বিশেষ। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধে আমরা সর্বোচ্চ আছি। ব্যাংক যখন বাড়ি লোন দিবে, ২০-২৫ বছরের লোন দিবে, সেযেনো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রি-ফাইনান্সিং পায়, এটার ব্যবস্থা আমরা করতে বলবো।’

আবাসন খাতের সাথে জড়িত ২শ’র বেশি শিল্প। দেশের জিডিপিতে সামগ্রিকভাবে এখাতের অবদানও উল্লেখযোগ্য। তাই নির্মাণ উপকরণের দাম সহনীয় রেখে আবাসন ব্যবসায় সরকারী সহায়তার পক্ষে মত দেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান বলেন, ‘সরকারকে দেখতে হবে আমাদের যে আমদানী নির্ভর শীল্প গড়ে ওঠছে সেগুলোর দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে।’

অর্থরনীতিবিদ খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘রেজিস্ট্রশনের ব্যয় অনেক বেশি। সেই জায়গাতেও যদি যৌক্তিকরণের সুযোগ থাকে। সহজ শর্ত ঋণ নিয়ে যারা ফ্লাট কিনতে চান তাদের জন্য ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তাহলে এই ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেক প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে।’

রিহ্যাবের তথ্যমতে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি বিভাগীয় শহরে অবিক্রিত ফ্ল্যাটের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। তাদের দাবি এতে আটকে পড়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ।