
বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাব্বাড়িয়া বলেশ্বর আবাসন প্রকল্পর আওতায় নির্মিত সরকারি ঘরে অবৈধ ভাবে বেশ কয়েকটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। এদের মধ্যে ওই এলাকার মোহাম্মদের ছেলে সোহরাফ একাই ৩টি ঘর দখল করে আছেন।
অপরদিকে অসহায় একটি পরিবার একটু মাথাগোজার ঠাইয়ের জন্য পথে-পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, আবাসনে ৪০টি কক্ষ থাকলেও যার অধিকাংশ-ই নানাভাবে বেদখল হয়ে আছে। সুফল পায়না প্রকৃত গরীবরা। এর প্রতিবাদ করলে তাদের নারী নির্যাতন মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরকার গরীবের জন্য যে আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করেছে সেখানে পেশীশক্তির জোরে থাকছেন ওই এলাকার সোহরাফ এবং আবুল হোসেন সহ বেশ কয়েক জন। যাদের রয়েছে বাড়িঘর সহায়-সম্পত্তি সবই। এ সময় হেমায়েত নামের এক গরীব বৃদ্ধ তার বৃদ্ধা স্ত্রী ছালেহা বেগমকে নিয়ে আশ্রয়ের জন্য দ্বারে-দ্বারে ঘুড়ে ফিরতে দেখা গেছে। জানা গেছে, আশ্রয়নের পশ্চিম মাথায় বিশাল কৃষি খামার দখল করে বিভিন্ন সবজি আর রবিশষ্য আবাদ করেছে সোহরাফ। এদিকে ঘটনা অনুসন্ধানকালে ওই আবাসনে একটি কক্ষ পাওয়ার জন্য পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বরাবরে দেয়া আবেদনের একটি কপি দেখান প্রতিবেদকে ছালেহা বেগম।
অপরদিকে আবাসনের পূর্বমাথায় বিশাল জমি নিজ সম্পত্তি মনে করে আবুল হোসেন নামের আর একজন দখলদার চাষাবাদ করছেন। অভিযোগ রয়ছে, গরীবের জন্য নির্মিত আবাসনের রুমে তারা মাছধরা জাল-দড়ি সহ নানা মালামাল রাখছে। আর নদীভাঙ্গন সহ নানা কারনে ভিটেমাটিহারা সহায়সম্বলহীন হেমায়েত আর ছালেহা বেগমেরা ঝড়বৃষ্টি আর দুর্যোগ-দুর্বিপাকে খেয়ে না খেয়ে মাথা গোজার ঠাই খুজে ফিরছে সকাল-বিকাল।
সোহরাফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে কোনো ক্রমেই ঘর থেকে নামানো যাবেনা বলেও সাফ জানিয়ে দেন। আরও যারা দখল করে আছে তাদের আগে নামান তারপরে দেখা যাবে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে বলেন, অবৈধ ভাবে কেউ দখল করে থাকলে অবশ্যই তারা ছেড়ে দিবে এবং আমরা তা উদ্ধার করব। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।