আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
বাংলাদেশে আবাসনের ব্যয় দ. এশিয়ার গড় নিবন্ধন ব্যয়ের দ্বিগুণ

মৌলিক অধিকার হলেও—সরকারের পর্যাপ্ত নীতি সহায়তা পাচ্ছে না মানুষের বাসস্থানের চাহিদা। এখনো বাংলাদেশে আবাসনের নিবন্ধন ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ার গড় নিবন্ধন ব্যয়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ— মিলে না সহজ শর্তে ঋণ সুবিধাও।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বিআইজিডি বলছে, এ উচ্চ ব্যয়ের কারণে রাজধানীর দুই তৃতীয়াংশ মানুষের নিজস্ব আবাসনের কোন পরিকল্পনা নেই।

আর আবাসন খাত ব্যয়সায়ীদের মতে, নিবন্ধন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে, ফ্ল্যাটের মূল্য মধ্যবিত্তদের নাগালের মধ্যে চলে আসবে।

গবেষণা সংস্থা বলছে, রাজধানীতে মানুষের আয়ের গড়ে ৩০ শতাংশ ব্যয় হয়, বাড়ি ভাড়া বাবদ। আর বাড়ি ভাড়ার ব্যয় মেটাতে খরচ কমাতে হয় খাবার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদন খাতে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বিআইজিডি বলছে, এতসবের পরও, তিন ভাগের ২ ভাগ মানুষের রাজধানীর বুকে নিজস্ব আবাসনের কোন পরিকল্পনা নেই। কারণ নিজস্ব আবাসন আরো ব্যয় সাধ্য।আপস.

বিভিন্ন তথ্যে দেখা যায়, একে তো উচ্চ দাম তারওপর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের আবাসন রেজিস্ট্রেশন ব্যয় সর্বোচ্চ, ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ। ভারতে সেখানে ৫ থেকে ৭ শতাংশ। শ্রীলঙ্কায় ৪ থেকে ৫ শতাংশ, পাকিস্তানে সাড়ে সাত থেকে ৯ শতাংশ এবং নেপালে ৬ থেকে সাত শতাংশ। রিহ্যাব মনে করে, সংবিধানে মানুষের বাসস্থানের অধিকার এবং এ বিষয়ে সরকারের করনীতি সাংঘর্ষিক।

বিআইজিডি বলছে, ঢাকায় মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ ব্যাংক ঋণ নিয়ে বাড়ী বা ফ্ল্যাট কিনতে পেরেছে। উচ্চ সুদের হার, স্বল্প মেয়াদ আর ঋণ পওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠির কারণে, ব্যাংক ঋণের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষের বাসস্থানের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে, আগামী বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

এ জন্য বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলে, আবাসনের জন্য একটি বিশেষ ফান্ডের ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ তাদের।