
আবাসনের মতো বিভিন্ন অনুৎপাদনশীল খাতকে বিনিয়োগমুখী করতে আসছে বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুবিধা থাকবে বলে জানিয়েছেন এনবি আর চেয়ারম্যান। আবাসন খাতে প্রতিবছর অপ্রদশির্ত অর্থ বৈধ করার সুযোগ থাকলেও এর যৌক্তিক বা তাৎপর্য ঠিক থাকে না। আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের দুদকের প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়াই বাধা। প্রতিবছর কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বন্ধ করার পক্ষে বিশ্লেষকরা।
বাজেট এলেই আলোচনায় আসে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার বিষয়টি। অর্থনীতিবিদদের আপত্তির পরও বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অপ্রদর্শিত ১৩ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা বৈধ করার সুযোগের বিপরীতে সরকার এক হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। তবে আবাসন খাতে টাকা সাদা করার পরিমান খুবই কম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবছর কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগে আবাসন খাতের বিনিয়োগে কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। গত কয়েক বছর ধরে অবিক্রিত থাকছে প্রায় ১০ হাজার ফ্ল্যাট।
রিহ্যাবের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূইঁয়া বলেছেন, টানা ৫ বছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের দুদক প্রশ্ন করতে পারেন তবে ঢালাউভাবে প্রশ্ন রাখা ঠিক হবে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেছেন, কালো টাকা সাদা করার বিষয়টি অবারিত থাকলেও এর যৌক্তিক বা তাৎপর্য ঠিক থাকে না।
তবে প্রশাসনের প্রশ্নের বিষয়ে সরকার এবং এ খাতের ব্যবসায়ীদের আলোচনা প্রয়োজন, বলছেন বিশ্লেষকরা।
১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, নির্ধারিত করের সঙ্গে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে। তবে গত কয়েক অর্থবছরে এই সুযোগ নেবার হার কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। ইন্ডিপেন্ডেট টিভি