
বাজেটে মধ্যবিত্তের আবাসনকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি, উল্টো ফ্ল্যাট নিবন্ধনে ছোট ফ্ল্যাটের ভ্যাট ১.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। যা মধ্যবিত্তের আবাসনকে নিরুৎসাহিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন তরুণ করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও র্যাংকস এফসি প্রোপার্টিজের সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম ক্লাব লাউঞ্জে বসে ‘সাম্প্রতিক বাজেটে আবাসন খাত’ নিয়ে এক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
তানভীর শাহরিয়ার রিমন বলেন, আগামী অর্থবছর থেকে ছোট ফ্ল্যাট (১ থেকে ১১০০ বর্গফুট) কেনায় খরচ বাড়তে পারে। কেননা বর্তমানে ১ থেকে ১১০০ বর্গফুট পর্যন্ত ফ্ল্যাট নিবন্ধনে ১ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। আগামী অর্থবছরে এ ধরনের ফ্ল্যাটের নিবন্ধনে ২ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
তবে বড় ফ্ল্যাট (১৬০১ থেকে বেশি) নিবন্ধনের ভ্যাট হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকছে। এদিকে যারা পুরনো ফ্ল্যাট কিনবেন তাদেরও খরচ বাড়তে পারে। কারণ নতুন অর্থবছরে পুরনো ফ্ল্যাট পুনঃনিবন্ধনে২ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বৈধভাবে অর্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের এ সুযোগ যখন ছিল তখন অনেকেই কর ধারা ১৯(বি) অনুসারে আবাসন খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত ছিলেন এবং দেশের টাকা দেশেরআবাসন খাতে বিনিয়োগ হতো। কিন্তু এ ধারাটি বিলুপ্ত হয়ে গেলে অপ্রদর্শিত অর্থ সেকেন্ড হোমের নামে মালেয়শিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া কিংবা কানাডার আবাসন খাতে অনেকে দীর্ঘদিন থেকে বিনিয়োগ করছেন। এতে দেশের আবাসন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখন এই ধারা পুনরায় প্রবর্তন করে নির্দিষ্ট অংকেরকর দেওয়া সাপেক্ষে অন্তত পাঁচবছরের জন্য আবাসন খাতে বিনিয়োগেরএকটা সুযোগ এখন সময়ের দাবিতেপরিণত হয়েছে।
নিবন্ধন ফি না কমানোর অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে দেশ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দাবি করে তানভীর বলেন , সরকারের টার্গেট হচ্ছে রাজস্ব আদায়। কিন্তু উচ্চ নিবন্ধন খরচের জন্য গ্রাহকরা অ্যাপার্টম্যান্ট কিনে, ফ্ল্যাট হ্যান্ডওভার নিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু তারা রেজিস্ট্রেশন করছেন না। এক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যাপার্টম্যান্টের নিবন্ধন খরচ কমিয়ে দেওয়া হলে সরকারের যেমন রাজস্ব বাড়বে তেমনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের গ্রাহকও বাড়বে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির হস্তান্তর ফি একটি নতুন গাড়ির নিবন্ধন ফি থেকে অনেক কম। অথচ সেকেন্ডারি ফ্ল্যাট নিবন্ধনে সমপরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়।এই বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। ব্যবহৃত ফ্ল্যাট বিক্রির পর তার পুনরায় নিবন্ধনে ৪/৫ শতাংশের বেশি নিবন্ধন ফি হওয়া কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।