
অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এলাকা ভেঙে পরিকল্পত এলাকা গড়ে তুলতে রি-ডেভেলপমেন্ট বিধিমালা প্রণয়ন কাজ শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। শিগগিরই এ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এটা সমগ্র দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে এটা অনুমোদনের আগে সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেয়া হবে।
শনিবার আরমানিটোলায় রাজউক ও ব্যতিক্রম মানবকল্যাণ সংঘ আয়োজিত ‘পুরান ঢাকায় আরবান রি-ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প’ বিষয়ক আলোচনা সভায় রাজউকের ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুরান ঢাকার রি-ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প সম্পর্কে বলা হয়, পুরান ঢাকার মানুষ এখন জরাজীর্ণ ভবন, অপর্যাপ্ত আলো-বাতাস ও অতি ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছে। পুরান ঢাকার সিংহভাগ এলাকার চিত্র হচ্ছে, সবকিছু গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে, বেশির ভাগ সড়কে ফুটপাত নেই, সরু সড়কে চলাচল করছে মানুষ। নেই খেলার মাঠ, সবুজ দৃশ্য বা উন্মুক্ত কোনো জায়গা। এ এলাকায় রি-ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে জমির উপযুক্ত স্পে পাওয়ার পাশাপাশি এলাকাবাসী প্রশস্ত রাস্তা, খেলার মাঠ, সবুজ দৃশ্য ও পর্যাপ্ত উন্মুক্ত জায়গা পাবে। এ সময় এলাকাবাসীর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে প্রকল্পের বাস্তবসম্মত যুক্তিগুলো তুলে ধরা হয়। এতে উপস্থিত এলাকাবাসীর অনেকে উৎসাহিত হন। আবার অনেকে রাজউকের ওপর আস্থাহীনতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির আলোচনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশরাত ইসলাম বলেন, রাজউকের রি-ডেভেলপমেন্ট ফর্মুলা খুবই সময় উপযোগী একটি প্রকল্প। এলাকাবাসী এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী হলে তারা নিজেরাই লাভবান হবেন।
বুয়েটের নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাকিল আকতার বলেন, জাপান, সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ রি-ডেভেলপমেন্ট ফর্মুলা প্রয়োগ করে অনেক উন্নতি করেছে। রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, আহমেদ বাউনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন মুন্সি, বেগম বাজার-মৌলভী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি দ্বীন মোহাম্মদ, স্থানীয় বাসিন্দা প্রকৌশলী সুরাইয়া তানজিল প্রমুখ।